মহালছড়িতে বিমল কান্তি চাকমা, জসিম উদ্দিন ও সুইনুচিং চৌধুরী বিজয়ী
মহালছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে ভোট বর্জনসহ কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন (২য় পর্যায়) শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ)সকাল থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টিত আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো মোটামুটি।
সকাল ১১টার দিকে মাইসছড়ি ইউনিয়নের যন্ত্রনাথ কার্বারী পাড়া কেন্দ্রে জেএসএস (এম এন লারমা) এর বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেন অন্য প্রার্থীরা প্রার্থীরা।
পরে জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) গ্রুপ সমর্থিত বিমল কান্তি চাকমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র দখল করার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্যাজাই মারমা, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম হুমায়ূন কবির, জেএসএস ( এম এন লারমা) এর বিদ্রোহী প্রার্থী কাকলী খীসা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শেফালী আক্তার ও ভৌমিকা ত্রিপুরা গণমাধ্যমকে ভোট বর্জনের কথা জানিয়েছেন।
সারাদিন ভোট গ্রহণের পর সহকারী রিটানিং অফিসার এর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিমল কান্তি চাকমা (কাপ পিরিচ) ১৯ হাজার ৮ শ’ ৩৫ ভোট পেয়েছেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ এর মনোনীত প্রার্থী ক্যাজাই মারমা (নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ১২ ভোট, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন (বই) পেয়েছেন ২১ হাজার ৯ শ’ ৪৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি হৃদয় চাকমা ‘টিউবওয়েল’ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৬শ’ ৪৬ ভোট, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুইনুচিং চৌধুরী ‘প্রজাপতি’ প্রতীক নিয়ে ১৫ হাজার ৫শ’ ৩৭ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ভৌমিকা ত্রিপুরা ‘কলস’ প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৬শ’ ১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মহালছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৮শ’ ৯৩ জন। চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের মধ্যে জেএসএস (এমএন লারমা) এর সমর্থিত প্রার্থী বিমল কান্তি চাকমাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী সুকুমার চাকমা। ফলে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে মো. জসিম উদ্দিন কে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান ক্যাচিংমিং চৌধুরী। ফলে ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যেই লড়াই হয়।