মহালছড়িতে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীরা বেতন নিয়ে অনিশ্চয়তায়
মহালছড়ি(খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা :
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে দীর্ঘদিন যাবত বেতন না পেয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কমিউনিটি হেলথ সার্ভিস ওর্য়াকার (সিএইচএসডব্লিউ) এর স্বাস্থ্য কর্মীরা।
গত ১৬ জুলাই জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন মুবাছড়ি ইউনিয়নের মনাটেক, ব্রিজ পাড়া, মহামুনি পাড়া গ্রামে এ অংশগ্রহণকারী স্বাস্থ্যকর্মী ক্রানুচিং মারমাসহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত ২০০৮ সাল থেকে ইউএনডিপি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে প্রকল্প ভিত্তিক মোট ৬৭ জন কমিউনিটি হেলথ ওর্য়াকার পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ পাওয়ার পর সরকারি জাতীয় কর্মসূচীসহ হাসপাতাল থেকে ঔষধ সরবরাহ করে গ্রামের সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছিলেন তারা। তবে এখন আর কোন ঔষধপত্র পাচ্ছে না।
তাঁরা আরো বলেন, সরকারের জাতীয় কর্মসূচীগুলোতে আমাদের অবগত করলেও বেতনের ব্যাপারে কেউ কিছু বলছে না। দীর্ঘ ৯ মাস যাবত বেতন কোথায়, কখন, কীভাবে পাবো তার কোন নিশ্চয়তা দিচ্ছে না কেউ। উপজেলার এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রাপ্য বকেয়া বেতন প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তাঁরা।
বিষয়টি স্বীকার করে মহালছড়ি উপজেলার সুপার ভাইজার ক্যাজাই মারমা বলেন, জেলা পরিষদে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার পরও কী কারণে তাঁদের বেতন বন্ধ রয়েছে তা জানা নেই। তবে প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানি। একইভাবে খাগড়াছড়ি জেলার ইউএনডিপি কর্তৃক পরিচালিত প্রকল্পের তত্বাবধায়ক ড. লক্ষীধন ত্রিপুরাও বলেন, মহালছড়ি উপজেলায় ৬৭ জন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছে। এদের মধ্যে ধাত্রী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী রয়েছে ১৬ জন। এ স্বাস্থ্য কর্মীরা সরকারের জাতীয় প্রোগ্রামগুলোতে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বিষয়টি অবগত করার পরও কার্যকর হচ্ছে না। এ প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রাপ্য বেতন প্রদান করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে এ প্রকল্পটি পার্বত্য মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতায় নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে ইউএনডিপির প্রকল্প গুটিয়ে নেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রত্যেকটি সরকারি জাতীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ সত্বেও দীর্ঘ ৯ মাস যাবত কোন বেতন পাচ্ছেন না।