ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সারাদেশ: রাজধানীতে আহত ৪

earthquake1

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বুধবার রাতে ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে মানুষ ভবন ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।

বুধবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় ৭টা ৫৫ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মাওলাইকে। দেশটির মাওলাইক থেকে ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৩৪ কিলোমিটার গভীরে।

মিয়ানমারের নিকটবর্তী হওয়ায় পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতেও প্রবল বেগে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৈসাবী উৎসবে মাতোয়ারা পার্বত্যবাসী এই হঠাৎ ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

 একই সময় ভূকম্পন অনুভূত হয় পাশের দেশ ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানেও। সময়টা ঠিক সন্ধ্যা হওয়ায় রাজধানীতে কর্মজীবী সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিল একান্তই ব্যস্ত। কেউ হয়তো দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরছিল, কেউ হয়তো একটু আগেই বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝাঁকুনিতে সব কিছুই যেন উলোট-পালোট হয়ে গেলো।

11225306_785903124873341_7255586835476379259_n

কাজের ব্যস্ততায় ভূমিকম্পের অনুভূতি সামান্য দেরিতে টের পেলেও পরক্ষণেই নগরবাসীর মধ্যে শুরু হয় ছুটাছুটি। তাদের অনেককেই সুউচ্চ ভবন থেকে সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে নিচে নেমে আসতে দেখা গেলো। চারদিকে শুরু হলো মানুষের হইহুল্লোড়। যে যেভাবে পারছে আত্মরক্ষায় ছুটছে। কেউ কেউ হয়তো সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে ঘরেই বসেছিলেন। তবে ভূমিকম্পের আনুমানিক স্থায়ীত্বকাল ছিল এক মিনিটের মতো।

তবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থার কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে অনুভূত এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকা থেকে ৪২০ কিলোমিটার পূর্বে বলে জানান তিনি।

.রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ উল্লেখ করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হানিফ বলেন, “এটা ছিল শক্তিশালী ভূমিকম্প। নিকট অতীতে আমাদের আশপাশে শুধু নেপালে এর চেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল।”

রাজধানীতে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়িতে অন্তসত্বা নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, শ্রমিক বৃষ্টি (১৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তারিকুল ইসলাম তারেক (২৫), অন্তসত্বা নাসরিন আক্তার (৩৮) ও মো. সাঈদ। বর্তমানে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান, নাসরিন আক্তার ও মো. সাঈদের অবস্থা বেশ গুরুতর।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন