ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাজ প্রক্রিয়াধীন, কোন কাজ বসে নেই: সন্তু লারমা
নিউজ ডেস্ক:
রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় রাঙামাটি সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান (অব:) বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীপ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চিপ সাচিং প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, ভূমি কমিশনের সচিব মো. আলী মনসুর ও রেজিস্টার সাহাব উদ্দিনসহ মোট ৭ জন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ঘন্টাব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চলমান কার্যক্রম সক্রান্ত আলোচনা চলে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান (অব) বিচারপতি মো. আনোয়ার উল হক বলেছেন, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্ভাস্তদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এইগুলো যাচাই-বাছাই করবো। ভূমি প্রদানের মাধ্যমে ভূমি কমিশনের কাজ শুরু করা হবে। বিধিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। হাতে পেলেই কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া রাঙামাটি ও বান্দরবানে দ্রুতই ভূমি কমিশনের দুটি শাখা অফিস খোলা হবে। শাখা অফিসের জন্য কাজ প্রক্রিয়াধীন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ভূমি কমিশনের প্রবিধান দ্রুত প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বলেন, আজকে আমরা যথাযথ ভাইবেই আলোচনা করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাজ কোনটি বসে নেই। সব কাজ প্রক্রিয়াধীন। কমিশনের কাজ আরও তরান্বিত করা দরকার। প্রবিধান প্রণয়ন না হলে কাজ দ্রুত আগানো যাবে না। এ ছাড়া ভূমি কমিশনকে দ্রুত কার্যকর করতে লোকবলও নিয়োগ দিতে হবে। এটার দায়িত্ব সরকারের। এটা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারব না।
চাকমা সার্কেল চীপ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ভূমি কমিশনের একটি খসড়া বিধিমালা সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে এবং বিধিমালা প্রণয়নের জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে পার্বত্যবাসী কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবে। আশা রাখছি, ভূমি কমিশনের একটি খসড়া বিধিমালা অতি দ্রুতই কার্যকর হবে।