Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপা পড়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়িতে ফের ব্যাপক পাহাড় ধ্বস শুরু হয়েছে। পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপা পড়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ী। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন। জেলায় খোলা হয়েছে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় আরো পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে জেলা শহরের শালবন, হরিনাথ পাড়া গ্যাপ, আঠার পরিবার এলাকায় পাহাড় ধ্বসে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি মাটি চাপা পড়ে। এতে সম্পদের ক্ষতি হলেও  কোন হতাহত হয়নি। পাহাড়ের নীচে বসবাসকারীরা পাহাড় কাটার কারণে এ ধ্বস হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।

আঠার পরিবারের বাসিন্দা হাসান আলী জানান, নীচে মাটি কাটার কারণে তার বসতবাড়ীতে পাহাড় ধ্বসে পড়েছে। তার সব কিছু মাটির নীচে চাপা পড়েছে। তিনি এখন নিঃস্ব।

ভাড়ী বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, শালবন, হরিনাথ পাড়া গ্যাপ, আঠার পরিবার, সবুজবাগ ও কলেজ গেইট এলাকায় আবারও পাহাড় ধ্বস দেখা দেওয়ায় প্রাণ হানির আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।

এদিকে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিচ্ছে । জেলায় ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে প্রশাসন।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী এলিশ শরমিন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে দুই দিন ধরে মাইকিং করা হচ্ছে। অথচ তারা সরছে না। ফলে প্রশাসনের লোকজন বাড়ী-ঘরে গিয়ে তাদের অনেকটা জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসছে।

জানা গেছে, এপর্যন্ত খাগড়াছড়ি ও মানিকছড়ির দুইটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩১ জন আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জুন মাসে বর্ষণে দুইদফায় পাহাড় ধ্বসে খাগড়াছড়িতে ৪ জনের মৃত্যু ও ৯ জন আহত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু ঘরবাড়ি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন