ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বেই খুন হয় মোশারফ: খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আলী আহমদ খান জানান, ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জের ধরেই মোশারফকে হত্যা করে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড ঘটার ৫দিন আগে হাতেম আলীর নেতৃত্বে প্রথম আলোচনা করা হয়। আলোচনায় পহেলা বৈশাখে সবাই ব্যস্ত থাকবে, এ সময় হত্যা করলে কেহ জানবে না, তাই পহেলা  বৈশাখ দিবাগত রাতকেই বেছে নেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, পরিকল্পনামতে ওই দিন রাতে মোশারফ বটতলী বাজারে হযরতের দোকানে বসা ছিল। তক্ষক ব্যবসার বড় ব্যবসায়ী পাওয়া গেছে, এমন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় তাকে বটতলী বাজারের পেছনে যাওয়ার পরামর্শ দেন হাতেম আলী। পরে মোশারফ বাজারের পেছনে যাওয়ার পরপরই সাইদুর আলী এবং নবী হোসেন উপর্যোপুরী ছুরি ও দা দিয়ে আঘাত করে। এসময় ফজর আলী তাকে দা দিয়ে গলা কাটে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গভীর রিং টিউবওয়েলে ফেলে দেয়।

বৃহস্পতিবার(১৯এপ্রিল) দীঘিনালা থানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলী আহমদ খান এসব তথ্য জানান। এসময়  মোশারফ হোসেনের চার খুনিদের উপস্থিত রাখা হয়। এদিকে মোশারফ হোসেনের হত্যায় জড়িত আসামীদের আটকের পর সংবাদ সম্মেলনের খবরে প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক  নারী পুরুষ থানা কমপ্লেক্সে হাজির হয়। এসময় তারা খুনিদের ফাঁসি দাবি করেন।

তিনি আরও জানান, হত্যার অন্যতম আসামি বুধবার ভোররাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাটহাজার থেকে ফজর আলী(৩০)কে আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ। ফজর আলী উপজেলার গোরস্থান পাড়ার আলাল খা’র ছেলে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রশিক নগর এলাকার সিরাজ মিঞার ছেলে হাতেম আলী (৩২), ফালু মিঞার ছেলে নবী হোসেন এবং হযরত আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম(৩০)কে আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ। এদিকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, দা ওই রিংটিউবওয়েলে ফেলে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার ওই রিংটিউবওয়েল থেকে ছুরি ও টাক্কল উ্দ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাউদ্দিন, দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সামসুদ্দিন ভুইয়া, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. নেয়ামতুল করিম পাটোয়ারী প্রমুখ।

উল্লেখ্যঃ  গত ১৩ এপ্রিল রাত দশটায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মোশারফ হোসেনকে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জেরে গলাকেটে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন বটতলী বাজারের পাশে রিংটিউবওয়েল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন