বৃহস্পতিবার থেকে সাজেকে পুণরায় সব ধরণের যানবাহন চলবে
সাজেকপ্রতিনিধি:
সাজেকের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার আশ্বাসে খাগড়াছড়ি জীপমালিক সমিতি ও বাঘাইহাট জীপমালিক সমিতি গাড়ী চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও সাজেকের জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে এব্যাপার নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে সহায়তা চাওয়া হলে তারা প্রয়োজনীয ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গাড়ীতে হামলা ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিতে গত রবিবার থেকে সাজেকে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহন চলাচল চালু করার ব্যাপারে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বুধবার সন্ধ্যায় মাসালং সেনা ক্যাম্পে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি জরুরী আলোচনা সভা করা হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মাচালং সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সেলিমুজ্জামান, সাজেক থানার অফিসার ইনসার্জ নুরুল আনোয়ার, সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা, মাচালং বাজার কমিটির সভাপতি মর শান্তি চাকমা সম্পাদক রতন চাকমা, জমাধন চাকমা, রফিক সওদাগর প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীগনের পক্ষ থেকে সাজেকে যানবাহন চলাচলে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে নিরাপত্তা বাহিনীকে আশ্বস্ত করা হয় এবং সভায় সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় বৈঠকে বৃহঃসপ্রতিবার থেকে সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত রবিবার থেকে সাজেকে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেকের জনগনের ভোগান্তি এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষতি চরমে পৌঁছালে জনপ্রতিনিধি ও ব্যাবসায়ীগণ সমস্যা সমাধানের জন্য নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে আলোচনা সভায় বসে।
উল্লেখ্য গত ১৭মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা গাড়ীতে হামলা ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতির লাইন কন্ট্রোলার উজ্জলকে ০১৮৩২৫৪৩৭৮৭ নাম্বার থেকে ফোন করে এই হুমকি দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে লাইন কন্ট্রোলার উজ্জল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত ১৭তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় আমার মোবাইলে একটি কল আসে। আমি কল রিসিভ করার পর অজ্ঞাত কণ্ঠ থেকে আমাকে বলে আগামী রবিবার সকাল থেকে যেন সাজেকে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল না করে এবং পর্যটকদের কোন গাড়ী ভাড়া যাতে না দেয়া হয়। আর যদি চলাচল করে গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। এসময় কলদাতার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে সে বলে, আমি সাজেকে মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেওয়া গ্রুপের লোক।
খাগড়াছড়ি জীপ মালিক সমিতির সভাপতি হাসেম হুমকির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রশাসন যদি নিরাপত্তা দেয় আমরা গাড়ি চলাচল অব্যাহত রাখতে চাই।
উল্লেখ্য, চাঁদা না দেয়ায় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা প্রায়শ: গাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এরপর সাজেক পর্যটন কেন্দ্র চালু হলে সন্তু লারমা ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন কেন্দ্র অচল কর দেয়ার ঘোষণা দেয়। তার অংশ হিসাবে গত কয়েকমাসে সাজেকগামী কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পর্যটকদের মারধোর করে। এরপর থেকে বাঘাইহাট জোন থেকে সাজেক পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় পর্যটক যাতায়াতের ব্যবস্থা চালু করা হয়।