বিদায়ের আগের দিন আরাকানে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করলেন সামরিক জান্তা

Arakan

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মঙ্গলবার মিয়ানমারের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থেইন শেইন ক্ষমতা থেকে বিদায়ের আগের দিন সংঘাতমুখর আরাকান রাজ্যের জরুরী অবস্থা তুলে নিয়েছেন। আরাকান বৌদ্ধদের সাথে রোহিঙ্গা মুসলিমদের দীর্ঘ সংঘর্ষ ও ব্যাপক প্রাণহানীর প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

 আরাকান ন্যাশনাল পার্টির(এএনপি) চেয়ারম্যান ডঃ আয়ে মং এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “বর্তমান অবস্থা ভালো, এখানে কোন সহিংসতা নেই। দুই গোষ্ঠীই সম্প্রীতি চায়। এই জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার এই অঞ্চল অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি সঞ্চার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তাদের হাতে কাজ নেই, তারা কাজ করতে চায়, বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্ম”। উভয় গোষ্ঠীই তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

এদিকে ১৯৮২ সালের বার্মা নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, দেশের ১৩৫ জাতিগোষ্ঠীর মত রোহিঙ্গারা নাগরিক হিসাবে স্বীকৃত নয়। জাতিসংঘ তাদের বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত স্বদেশ বিহীন সংখ্যালঘুদের হিসেবে বিবেচনা করেন।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সালে ওই সংঘর্ষের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী শিবিরে চার বছর কাটানোর পর প্রায় ২৫,০০০ রোহিঙ্গা সম্প্রতি তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে এসেছে। এটা রোহিঙ্গাদের আশাবাদী করে তুলেছে। কিন্তু এখনও প্রায় ১,২০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে। মিয়ানমারে তাদের বৈধতা নিয়ে সমস্যা এখনও থেকেই যাচ্ছে। পাশপাশি এটাও পরিষ্কার নয় যে, জরুরী অবস্থা ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর রোহিঙ্গাদের কি হবে?

এমন এক সময় দেশটি এ জরুরী অবস্থা তুলে নিলো, যখন মাত্র একদিন পরই দেশটিতে দীর্ঘদিন পর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যাচ্ছে সামরিক সরকার। যদিও নেই নির্বাচনে ৬ হাজার প্রার্থির মধ্যে মাত্র .৫% মুসলিম প্রার্থি ছিলো। কিন্তু শত শত মুসলিম প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্ব আইনের অজুহাতে প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছিল।

ছবি- ২০১২ সালের দাঙ্গার ছবি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন