“একটি সূত্র জানায়, সামনে সন্তু ও প্রসীতের মিশন হবে আরো ভয়াবহ। ইতিমধ্যে দুই সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের হাতে রয়েছে এম-১৬, একে-৫৬, একে-৪৭, এলএলজি, এসএমজি ও রকেট ল্যাঞ্চারসহ আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত জয় শঙ্করের কাছে ৬ টি এসএমজি ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধারের ঘটনায় তাদের অস্ত্র সংগ্রহের প্রমাণ পাওয়া যায়। উপরের ইশারা পেলেই এরা আঘাত করবে।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে সতর্কতা জারী করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

বিজুর আমেজে হামলার আতঙ্ক পাহাড়ে

fec-image

প্রতিবেদনে সন্তু লারমা বাংলাদেশের ভেতর আরেকটি দেশ প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছেন এমন অভিযোগ করে বলা হয়, বাংলাদেশের মত একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও সন্তু লারমা এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেননি। এটা রাষ্ট্রের প্রতি তার আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ এমন প্রশ্ন রেখে বলা হয়, তিনি নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করেন অথচ তিনি নিজ এলাকার ভোটার নন।

বৈসাবির পরে পাহাড়ে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সামাজিক গণমাধ্যম জুড়ে বিভিন্ন পাহাড়ী আইডি থেকে একের পর এক এ ধরণের হুমকিমূলক পোস্ট দেয়া হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনের আগেও নির্বাচনের পরে হামলার বিষয়ে পোস্ট দেয়া হয়েছিল এবং নির্বাচন শেষে বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মকর্তা বহনকারী গাড়িতে ঠিকই হামলা হয়েছিল।

সে হামলায় ৮ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছিল। ফলে নতুন করে সামাজিক গণমাধ্যমে একের পর এক হামলার হুমকি পার্বত্যবাসীর মনে এক অজানা আতঙ্ক ভর করেছে। পাহাড়ের বৃহৎ উৎসব বৈসাবি আনন্দ ও আমেজের মধ্যেও এ আতঙ্কের ছায়া গভীর রেখাপাত করেছে পার্বত্যবাসীর মনে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সেদেশের নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে সতর্কতা জারি করায় এ আতঙ্ক মানুষের মনে ভীতির সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে ভ্রমণরতদের বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ করা ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এ সতর্কতা জারি করে। পররাষ্ট্র দফতর জানায়, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবনের মতো পাহাড়ি এলাকা বিপজ্জনক। সেখানে অপহরণসহ অন্যান্য অপরাধের ঘটনা ঘটছে। সে কারণে চট্টগ্রাম হিলট্র্যাকসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সন্ত্রাস, অপহরণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদনেও পার্বত্য অঞ্চল ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করে সন্তু লারমা বাংলাদেশের ভেতর আরেকটি দেশ প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতি রিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা ও ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ)-সভাপতি প্রসিত খীসার দেশত্যাগের খবরে এমন শঙ্কা আরো প্রকট হয়েছে। তবে সন্তু লারমা দেশ ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলেও প্রসীত খীসার দেশত্যাগের খবরটি তার সংগঠনের কেউ স্বীকার করেনি।

একটি সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা গত ৬ এপ্রিল চিকিৎসার নামে ভারতের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করে। তবে কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরবেন সূত্রটি নিশ্চিত করেনি। এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ)-সভাপতি প্রসিত খীসা সম্প্রতি আমেরিকার উদ্দেশে দেশত্যাগ করেছে বলে জানা গেছে। খবরটি একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করলেও তার সংগঠনের নেতারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) মাইকেল চাকমা পার্বত্যনিউজকে বিষয়টি অবগত নন দাবী করে বলেন, তার(প্রসীত) সাথে দীর্ঘ দিন কোন যোগাযোগ নেই। ইউপিডিএফ’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমারা সাথে বহুবার তার সেলফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্পদের ভাগাভাগি, জবাবহিদিতা ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে সন্তু লারমার সাথে তার দলের বিশেষ করে সামরিক শাখার সিনিয়র নেতাদের বড় ধরণের মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে উপদলীয় কোন্দলে একাধিক খুনের ঘটনাও ঘটেছে। এসব উপদলগুলো এখন অনেকটাই নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় রয়েছে। নতুন করে জেএসএস ভাঙতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। সশস্ত্র সামরিক শাখার এই দ্বন্দ্বে অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পাহাড়।

সূত্রটি জানায়, সন্ত লারমা ও প্রসীত খীসার দেশত্যাগের উদ্দেশ এক ও অভিন্ন। মূলত: বৈসাবি উৎসবের পরে পাহাড়ে বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে এবং হামলা পরবর্তী দায় এড়াতে তারা দুজনই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দেশত্যাগ করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির স্বাক্ষরের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৮ সালের ১০ ফের্রুয়ারী খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গেরিলা নেতা সন্তু লারমার নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পন করে জনসংহতি সমিতির সদস্যরা।আর ঐদিনই সন্ত লারমার শিষ্য প্রসীত খীসার নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ানে শত শত পতাকা উত্তোলন করে অস্ত্র সমর্পন অনুষ্ঠানকে ধিক্কার জানানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবীতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) গঠিত হয়। শুরু হয় সন্তু ও প্রসীতের নেতৃত্বে দুই সংগঠনের আধিপত্য রক্ষার লড়াই। দ্বিমুখী পাল্টা-পাল্টি হামলা।

তবে সন্তু ও প্রসীতের মূল টার্গেট ছিল পাহাড়ে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনী। ২০১০ সালে ১০ এপ্রিল জেএসএস ভেঙ্গে সুধা সিন্দু খীসার নেতৃত্বে গঠিত হয় জেএসএস(এমএন) গ্রুপ। এবার শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘাত। কখনো জেএসএস-ইউপিডিএফ আবার কখনো জেএসএস(সন্তু)-জেএসএস(এমএন)। কখনো,কখনো নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে।

২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ইউপিডিএফ ভেঙ্গে তপন কান্তি চাকমাকে আহবায়ক ও শ্যামল কান্তি চাকমা তরুকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের নতুন দল ইউপিডিএফ(গণতান্ত্রিক) দলের জন্ম হয়। পাহাড়ে সংঘাতে চিত্র পাল্টে যায়। পাহাড়ের রাজনীতিতে চির শত্রু সন্তু ও প্রসীতের মধ্যে গোপন আতাঁত। আর এ আতাঁতের প্রথম টার্গেট হন নানিয়রচর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শক্তিমান চাকমা।

সন্তু লারমার জেএএসএস ও প্রসীতের ইউপিডিএফ’র যৌথ মিশনের গত বছরের ৩ মে উপজেলা পরিষদের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তার মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রাঙামিাটির নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য এডভোকেট শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ৫ মে দুপুরে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের বেতছড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর কেন্দ্রীয় আহবায়ক তপন জ্যোতি চাকমাসহ ছয়জন নিহত ও অপর ৮জন আহত হয়।

সন্তু ও প্রসীতের সর্বশেষ মিশনের শিকার গত ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মো: আমির হোসেনসহ ৮ জন নিহত ও অন্তত ১৬ জন ভোট কর্মকর্তাকে আহত হওয়ার ঘটনা। এ ঘটনার জন্য সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীতের ইউপিডিএফ-কে দায়ী করা হয় বিভিন্ন মহল থেকে।

একটি সূত্র জানায়, সামনে সন্তু ও প্রসীতের মিশন হবে আরো ভয়াবহ। ইতিমধ্যে দুই সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের হাতে রয়েছে এম-১৬, একে-৫৬, একে-৪৭, এলএলজি, এসএমজি ও রকেট ল্যাঞ্চারসহ আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত জয় শঙ্করের কাছে ৬ টি এসএমজি ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধারের ঘটনায় তাদের অস্ত্র সংগ্রহের প্রমাণ পাওয়া যায়। উপরের ইশারা পেলেই এরা আঘাত করবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তা বহরের উপরও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারা এমনি ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর হামলা দায় এড়াতে কৌশলে দেশ ছেড়েছেন সন্তু ও প্রসীত এমনটাই মনে করছেন পাহাড়ের মানুষ।

পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাইন উদ্দিন বলেন, ১৯৮৬-৮৭ সালের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরিকল্পনা সন্তু ও প্রসীতের। প্রয়োজনের পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে কয়েক হাজার পাহাড়িকে দেশত্যাগের বাধ্য করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। উদ্দেশ দেশী-বিদেশী শক্তিগুলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে দৃষ্টি ফেরানো।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সন্তু লারমার দীর্ঘ দিনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে পিলে চমকানো তথ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরী করা প্রতিবেদন দেশে-বিদেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে উঠেছে সন্তু লারমা ব্যক্তিগত ও ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন বিষয়।

প্রতিবেদনে সন্তু লারমা বাংলাদেশের ভেতর আরেকটি দেশ প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছেন এমন অভিযোগ করে বলা হয়, বাংলাদেশের মত একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও সন্তু লারমা এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেননি। এটা রাষ্ট্রের প্রতি তার আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ এমন প্রশ্ন রেখে বলা হয়, তিনি নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করেন অথচ তিনি নিজ এলাকার ভোটার নন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি পার্বত্য অঞ্চল ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে পাহাড়কে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে । একইসঙ্গে সেনাবাহিনীকে ঘিরে নানা ধরনের অপ্রচার চালানো হচ্ছে।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ সালে সরকারের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী অপর পক্ষ ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ হতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’ এর সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতি রিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন না। এমনকি তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল মানুষের প্রতিনিধিও নন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনও নয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্ধেক জনগোষ্ঠি বাঙালি। সন্তু লারমা কোনভাবেই তাদের প্রতিনিধি নন। বরং তিনি প্রচন্ড বাঙালি বিদ্বেষী। বাঙালিদের অভিযোগ সন্তু লারমা পাহাড়ে ত্রিশ হাজার বাঙালি হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছেন। কাজেই সন্তু লারমার সঙ্গে চুক্তি করে, সেই চুক্তি বাঙালিদের মেনে নিতে বলা অর্থহীন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্তু লারমা বাংলাদেশ সরকারের সুবিধা ভোগ করছেন, সরকারের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের মধ্যে চারটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। পার্বত্য জনসংহতি সমিতি তাদের মধ্যে একটি। বাকীরা জনসংহতি সমিতির(সন্তু) অন্যরা সন্তু বিরোধী। অনেক সাধারণ পাহাড়ি যারা কোনো আঞ্চলিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়। বরং হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ইত্যাদির কারণে সন্তু লারমা ও জনসংহতি সমিতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত।

প্রতিবেদনের সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ হতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর নেতা সন্তু লারমা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পিসিজেএসএস’র একটা অংশ প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে শান্তিচুক্তির বিরোধীতা করে ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দাবী করে সশস্ত্র আন্দোলনের পথ বেছে নেয়। অথচ সন্তু লারমার পক্ষ হতে ওই সশস্ত্র দলকে বিপথ থেকে সুপথে আনার কোন প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন