বিজিবি অর্ধ শতাধিক সদস্যের স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার হচ্ছে পানছড়ির মৃত্যু সড়ক

BGB PIC

শাহজাহান কবির সাজু:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ২০ বিজিবি সদর দপ্তরের উত্তরেই সবুজের বুক চিরে বয়ে গেছে গোলক প্রতিমাছড়া। পানছড়ি বাজার হয়ে কলাবাগান, হাসান নগর, সুরেজ চন্দ্র কার্বারী পাড়া, নাপিতাপাড়াসহ প্রায় ৫/৬ গ্রামের সর্বসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বয়ে গেছে গোলক প্রতিমার পাশ ঘেঁষে।

কিন্তু বিগত দিনের প্রবল বর্ষণে এই নিত্য চলাচলের রাস্তাটির বেশীরভাগই ভেঙ্গে পতিত হয়েছে গোলক প্রতিমার কড়াল গ্রাসে। নামে মাত্র কোন রকম মূল সড়কের সাথে লেগে থাকলেও পথচারী ও বিদ্যালয় পড়–য়াদের নিত্য চলাচল এ মরণ সড়ক দিয়েই। তাছাড়া দিনে কোন রকম চলাচল করা গেলেও সন্ধ্যার পর তা শতভাগ ঝুকিপূর্ণ। যার ফলে রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ মৃত্যু সড়ক নামেই পরিচিত।

পানছড়ির শস্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত হাসান নগর এলাকার কৃষকেরা হতাশায় ভুগে ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন-নিবেদন করলেও কোথাও পায়নি কোন ইতিবাচক সাড়া। অবশেষে পানছড়িস্থ ২০ বিজিবি লোগাং জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল আহসান আজিজ (পিএসসি)’র দারস্থ হয়। তিনিও ৫/৬ গ্রামের সর্বসাধারণের শুনালেন আশ্বাসের বানী।

Road Pic

অবশেষে বিগত সপ্তাহ খানেক ধরে প্রায় ৬০/৭০জন বিজিবি সদস্যর স্বেচ্ছাশ্রমে দ্রুত এগিয়ে চলছে সড়কটি মেরামত ও ভাঙ্গন রোধের কাজ। এরই মাঝে প্রায় ৫হাজার সিমেন্টের ব্যাগ, তিন শতাধিক গাছের খুঁটি দিয়ে প্রখর রোদের মাঝে কাজ করে যাচ্ছে বিজিবি সদস্যরা। তাদের উৎসাহ ও সাহস যোগাতে তদারকি করছেন অধিনায়ক লে: কর্ণেল আহসান আজিজ (পিএসসি) সাথে রয়েছে সহকারী পরিচালক রহমত আলী।

সরেজমিনে জোন অধিনায়কের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, জনগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য এই উদ্যেগ নিয়েছি। বিগত ১০ দিন ধরে কাজ চলছে আরো ১০/১৫ দিন কাজ শেষে তা চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: বাহার মিয়া এ কাজে কিছু সহযোগিতা করেছেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যানও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান।

হাছান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি কবির হোসেন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম খোকন বলেন, সড়কটি জন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও স্থানীয় প্রশাসনের কোন সু-দৃষ্টি পড়েনি। বিজিবি’র উদ্যোগে এই রাস্তটি মেরামত হওয়ায় এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘব হলো। উপস্থিত শত শত এলাকাবাসীর দাবী ২০ বিজিবি’র অক্লান্ত পরিশ্রমে রাস্তাটি নির্মাণ ও সংস্কারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন যদি ইট সলিং করে দেয় তাহলে রাস্তাটির স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন