বাড়ছে ঠাণ্ডা জনিত রোগ, প্রয়োজন সচেতনতা
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। সাথে বাড়ছে ঠাণ্ডা জনিত রোগ। এই রোগের প্রভাবে নানা বয়সি লোকের মধ্যে দেখা দিচ্ছে সর্দি, কাশি, হাঁচি ও শ্বাসকষ্ট। এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, সচেতনতা আর বাড়তি যত্ন ও সঠিক সময়ে চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া ৪২ শিশু’র মধ্যে ৩০জনই হচ্ছে ঠাণ্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে অনেক শিশুকে অক্সিজেন দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায় নার্সদের।
রামুর মিঠাছড়ি এলাকার আব্দুর রহিম জানান, তার এক বছর বয়সী শিশু মাহামুদুল হাসানের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ঠাণ্ডা লেগেছে। তাকে গত ৬ দিন আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। কিন্তু এখনও কোন ধরনের উন্নতি হয়নি।
একইভাবে রাবেয়া নামে মহেশখালীর এক নারী জানান, তার ২ বছর বয়সী বাচ্চা রোম্পার অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এনে অক্সিজেন দেওয়ার পরে একটু স্বাভাবিক লাগছে। আর প্রতিদিন অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
ঠাণ্ডা জনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সর্ম্পকে ডাক্তার নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, কোনভাবে ঠাণ্ডা লাগানো যাবেনা। কান আর মাথা সবসময় ঠাণ্ডা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম কাপড় পড়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন নোংরা আর ধূলাবালি না হয়। তাই গরম কাপড় ব্যবহারের আগে রোদে শুকাতে দেওয়া উচিত।
এছাড়া অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। গোসলের ব্যপারে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে ঠাণ্ডার কারণে গোসল করতে চায়না। এটা উচিত না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য অবশ্যই গোসল করতে হবে। প্রয়োজনে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব শ্বাসকষ্টের বিষয়টি। বাচ্চার যদি শ্বাস প্রশাস দ্রুত চলে। মায়ের দুধ না খায়। অতিরিক্ত কান্না করে। খাওয়া বন্ধ করে দেয়। খেলাধুলা বন্ধ করে দেয়। তাহলে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। আর লান্স’র অবস্থা বুঝে অক্সিজেন দিতে হবে। তাই সতর্ক আর সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগ সেরে উঠবে।