বাসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, চকরিয়ায় ডুলাহাজারা কলেজের ১৬শত শিক্ষার্থী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার 

চকরিয়া প্রতিনিধি:
বাস নিয়ে যাতায়তের জন্য প্রতিনিয়ত অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয়না চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক লগোয়া চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা কলেজ ১হাজার ৬০০শত শিক্ষার্থীর। প্রতি দিন দেখা যায় মহাসড়কের উপরে  কলেজ পোশাক পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা গাড়ির অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে সড়কের পাশে। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাসের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার প্রহরগুনে তারা।

সময় মতো চট্রগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কের চলাচলগামী  বাস ও লোকাল মিনি বাসে শিক্ষার্থীরা উঠতে না পেরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁডিয়ে থাকতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে পৌঁছাতে না পেরে প্র্রতিদিন যথাসময় ক্লাস ধরতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। কারো হাতে কারো পিটে ব্যাগ নিয়ে বাসের অপেক্ষায় কলেজে যাওয়ার সময়টা পার হয়ে যায় মহাসড়কে। সরেজমিনে দেখাগেছে, চকরিয়া পৌর শহর থেকে কলেজের দুরত্ব প্রায় ১০কিমি। ১৯৯৭সালে স্থানীয় গুটিকয়েক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক লগোয়া অনিদ্য ছায়াঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে কলেজের শিক্ষার্থীরা শতভাগ ভাল ফলাফলের মধ্যদিয়ে জেলায় সুনাম কুড়িয়েছে।

বর্তমানে কলেজটি পড়া-লেখার মানউন্নয়ন ও বিশ্বায়নের যুগে তথ্য প্রযুক্তিগত ভাবে কলেজটি বহুদূর এগিয়ে গেছে। শুধু মাত্র দূরদুরান্ত থেকে আগত কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে একটি গাড়ি। আটটি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের প্রায় হাজারো শিক্ষার্থীরা চকরিয়া পৌর শহর থেকে নিয়মিত কলেজে যাতায়ত করে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার পর যখন বাস আসে তখন স্বল্প আসনের কারণে অনেকেই দাড়িঁয়ে দাড়িঁয়ে ঝুলে ঝুলে যেতে হয়। উপজেলার চিরিংগা, সাহার বিল, ডেমুশিয়া, কোনাখালী, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা, ফাঁসিয়াখালী,খুটাখালী ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৭০টি গ্রামের ১হাজার ছাত্র/ছাত্রী মহাসড়ক দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করে।

এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক-অভিভাবিকা, শিক্ষকমণ্ডলীসহ এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যদিকে সচেতন মহল দাবি করছে, প্রশাসনিক ভাবে যদি কোনো প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তা হলে এ হাজারো কলেজগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমবেনা। চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে কত বাস আসে আর যায় কিন্তু কলেজের ছাত্র-ছাত্রী দেখলে নিদিষ্ট স্ট্যাণ্ডে বাস থামেনা। এভাবে ঘন্টা দুই এক দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়িতে উঠতে পারেনা অনেকেই। এসব সমস্যা এখন নিত্যদিনের। এতে করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।  প্রতিষ্ঠানের নেই কোনো নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা।পরিবহন সমস্যার কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন সরকার কতৃক নিষিদ্ধ যানবাহন সিএনজি (অটোরিকশা) করে যাতায়াত করে। এতে করে অনেক সময় ঘটে দূর্ঘটনা।

ডুলাহাজারা কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র নোমান জানান, প্রতিদিন আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকি কিন্তু বাসের দেখা মিললেও বাসে সহজে উঠায় না। কলেজে যাওয়া-আসা করতে গাড়ির জন্য আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। গাড়ির সমস্যার কারণে নিয়মিত ক্লাস ধরতে কষ্ট হয়। কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী তানজিন বলেন, নিয়মিত কলেজ যাতায়তে বাসের জন্য রাস্তার উপর দীর্ঘসময় অপেক্ষা থাকতে হয়। প্রতিদিন ভিড়ের মধ্যে বাসে উঠে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকার হচ্ছে শিক্ষা বান্ধব সরকার। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এবিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চকরিয়া ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কলেজে প্রায় ১৬শত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তৎমধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা গ্রামীণ জনপদের দূরদুরান্ত থেকে কলেজে নিয়মিত যাতায়াত করে আসছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সমস্যা সমাধানের জন্য কক্সবাজার-(১)চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজ্বী মো. ইলিয়াছ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ(অনার্স) এমএ লিখিত ও মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে শিক্ষার্থীদের যাতায়তের দুর্ভোগ লাগব করতে পারি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন