বালি উত্তোলনে অস্তিত্ব বিপন্নের পথে শাহপরীরদ্বীপ

 

টেকনাফ প্রতিনিধি:

বালি উত্তোলনে অস্তিত্ব বিপন্নের পথে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ। ১৩টি ট্রলারে করে বালি তুলে এনে ইকো-ট্যুরিজম এলাকা হিসাবে ঘোষিত টেকনাফের জইল্যারদিয়া (আবদুল জলিলের দ্বীপ) নাফ ট্যুরিজম জোন ভরাট করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে ১৩টি ট্রলারে করে শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার পুর্বে নাফ নদীর তীর থেকে বালি উত্তোলন করছে কিছু লোক। বালি উত্তোলন করে টেকনাফের জইল্যারদিয়ায় এনে ভরাট করা হচ্ছে।

এভাবে হঠাৎ করে বালি উত্তোলন করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দা আবদুল হক প্রকাশ ‘হক সাহেব’ বলেন ‘এমনিতেই শাহপরীরদ্বীপের চারদিকে ভয়াবহ ভাঙ্গন চলছে গত কয়েক বছর ধরে। তেমনিভাবে টেকনাফের সাথে শাহপরীরদ্বীপের সড়ক যোগাযোগও গত কয়েক বছর ধরে বিচ্ছিন্ন।

এমতাবস্থায় শাহপরীরদ্বীপ ঘেঁষে নাফ নদী থেকে ব্যাপক হারে বালি উত্তোলন করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া এবং নানা সমালোচনা চলছে। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বালি উত্তোলণ করার সরকারী কোন অনুমতি আছে কি-না তাও আমরা তথা শাহপরীরদ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা জানেনা’।

স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর হোসেন বলেন ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে প্রশাসন থেকে এব্যাপারে কোন তথ্য জানানো হয়নি। শাহপরীরদ্বীপ এননিতেই অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

উপরন্ত যে স্থান থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে পুরো শাহপরীরদ্বীপ হুমকির মুখে পড়বে। এভাবে কোন অবস্থাতেই বালি উত্তোলন করতে দেয়া হবেনা’।

এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হোসেন সিদ্দিক বলেন নাফ ট্যুরিজম জোন, জইল্যারদ্বীপ উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ভরাটের জন্য বালির প্রয়োজন। ক্ষতি না হয় মতো নাফ নদীর ভেতর থেকে বালি উত্তোলন করতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন