বাবুছড়ায় বিজিবি সদর দফতর প্রত্যাহারের দাবিতে অনশন

Hungar strikekhagrachar1i,3.03সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

দীঘিনালার বাবুছড়ায় স্থাপিত বিজিবি সদর দফতর প্রত্যাহার ও সেখান থেকে উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারকে নিজ নিজ বসতভিটায় পুনর্বাসনের দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটি। পুলিশী বাধার মুখে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য প্রদেন্দু চাকমার সঞ্চালনায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান নবকমল চাকমা, দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি পরিতোষ চাকমা, দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধর্ম জ্যোতি চাকমা, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, কবাখালি ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বকল্যান চাকমা, বাবুছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুগত প্রিয় চাকমা।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, খাগড়াছড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর মিলন দেওয়ান, শরনার্থী কল্যাণ সমিতির নেতা অজিত বরন চাকমা প্রতিকী অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

একটি জনগোষ্ঠীকে নিচিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাবুছড়ায় পরিকল্পিতভাবে বিজিবি সদর দফতর স্থাপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা।

বাবুছড়া থেকে বিজিবি সদর দপ্তর প্রত্যাহারসহ সেখান থেকে উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারকে নিজ নিজ বসতভিটায় পুনর্বাসনের দাবি জানান খাগড়াছড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর মিলন দেওয়ান।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দীঘিনালা উপজেলার ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়নের যত্ন কুমার কার্বারী পাড়া ও শশী মোহন কার্বারী পাড়া থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক জোরপূর্বক উচ্ছেদ হওয়া ২১টি পাহাড়ি পরিবার গত ৯ মাস ধরে অনাহারে, অর্ধাহারে মানবেতর দিনযাপন করছে। সরকার তাদেরকে নিজ জমি ফেরত দেয়া তো দূরে থাক, কোন সহযোগিতা পর্যন্ত দিচ্ছে না। তারা অভিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারকে নিজ নিজ বসতভিটায় পুনর্বাসনের দাবি জানান।

অনশন থেকে আগামী ৫ মার্চ ২০১৫ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী বাবুছড়া পুরান বাজার থেকে দীঘিনালা উপজেলা সদর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা করেন দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধর্মজ্যোতি চাকমা।

প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে স্থানীয় পাহাড়ীরা বাবুছড়ায় বিজিবি সদর দপ্তর স্থাপনে বিরোধীতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গেল বছরের ১০ জুন সন্ধ্যায় কয়েকশ সংগবদ্ধ পাহাড়ী নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্মাণাধীন বাবুছড়া ৫১ বিজিবি সদর দফতরে হামলা চালালে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বিজিবির ৬ সদস্য ও পুলিশের কনস্টেবলসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। হামলায় বিজিবির দুটি রাইফেলসহ বেশ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন