Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

বান্দরবান জেলায় আমের বাম্পার ফলন, লোকসানের মুখে চাষী

লামা প্রতিনিধি

বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এ বছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরুর দিকে আম চাষীরা আমের ভালো দাম পেলেও শেষের দিকে এসে আমের দাম কমে গেছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আম বাগানের মালিকরা লোকসানের মুখে পড়েছে।

আম্রপালি ও রাংগুয়াই জাতের আম বান্দরবান জেলার বাজারগুলোতে সয়লাব হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরিসংখ্যান মতে, বান্দরবান জেলায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ৯৮ হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন হয়েছে। এরমধ্যে আম্রপালি ও রাংগুয়াই আমের ফলন বেশি। এছাড়াও রুপালী, হাড়িভাঙ্গা, ফজলি, লেংড়া, হিমসাগর, মল্লিকা, গ্রাই কাঁথামিঠা, পনিয়া ও থাইডাকমাই সহ অনেক প্রজাতির আম রয়েছে।

কৃষকরা বাগান থেকে এসব আম সরাসরি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রয় করেন। যারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাগান করেছেন তারা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুচরা ও পাইকারী দরে আম বিক্রয় করেন।

বান্দরবানে গত ১ যুগ ধরে আম বাগান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাগান রয়েছে। ২০০৩ সালে বড় আকারের চিটাগাং মেরিডিয়ান (এগ্রো) ইন্ড্রাষ্ট্রিজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লামার সরইতে আম বাগান শুরু করে।

পাহাড়ে সর্বপ্রথম আম্রপালির বাগান শুরু করেন নিজামপুর (এগ্রো) প্রোডাক্টস নামক একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে হামেলা হোসেন ফাউন্ডেশন, লামা রাবার বাগান ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লিমিটেড, শাহারিয়া ফলজ বাগান, এস.এম.এইচ এগ্রো ফার্ম, গোল্ডেন ভেলি এগ্রো ফার্ম, মোয়াজ্জেম হোসেন এগ্রো ফার্মসহ অসংখ্য বাণিজ্যিক বাগান রয়েছে।

নিজামপুর এগ্রো প্রোডাক্টেস এর চেয়ারম্যান, নারী উদ্যোক্তা নাছিমা বানু জানান, রাসায়নিকমুক্ত আম বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা আমের বাগান করি। বর্তমানে বাগান থেকে সরাসরি রাসায়নিকমুক্ত আম এনে বাজারে বাজারজাত করা হচ্ছে।

লামা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রতন দেব জানান, শ্রাবণ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আম্রপালি ও রাংগুয়াই আম থাকবে।

আম চাষী জামাল উদ্দিন জানান, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতা না থাকায় লোকসানের মুখে পড়ে দিশেহারা অনেক আম চাষী। বর্তমানে বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে আম্রপালি পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রাংগুয়াই আমের কেজি পাইকারী ৫ থেকে ৭ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যারা বাগানের আম অগ্রিম কিনে রেখেছেন তারা চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বান্দরবান জেলার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. আক্কাস মাহমুদ জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে কৃষক আমের ভালো দাম পেয়েছে। শেষের দিকে এসে দাম একটু কমে গেছে। মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, আমড়া, পেয়ারা, কলা ও বাতাবি লেবুসহ বিভিন্ন ফল একসাথে ফলন হওয়ায় আমের দাম একটু কমে গেছে। জেলার মধ্যে লামা ও বান্দরবান সদরে আমের ফলন বেশি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন