Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

 বান্দরবানে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিতে পাঠদান

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বান্দরবান জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলার ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন যে কোন মুহুর্তে ধ্বসের কবলে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার জন্য এ চারটি বিদ্যালয় ভাঙ্গনের রোধ থেকে রক্ষা পেতে হলে কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় জনসাধারণ।

সূত্র জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হলো আলীকদম উপজেলার গয়াম ঝিড়ি পঞ্চবিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্য তিনটি হলো লামা উপজেলার অংহ্লারী পাড়া, ত্রিশডেবা ও ১নং চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের অংহ্লারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, চলতি বর্ষায় বিদ্যালয় ভবনের নিচতলার পিছন থেকে মাটি ধ্বসে পড়ায় ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অতি সত্তর নিরাপত্তা দেয়াল না দিলে বিদ্যালয়টি যে কোন সময় ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ত্রিশডেবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, অতি বর্ষায় ভবনটির এক পাশের মাটি সরে যাওয়ায় যে কোন সময় ইয়াংছা খালে ধ্বসে পড়তে পাড়ে। নিজেদের এবং শিশুদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

আজিজনগর ইউনিয়নের ১নং চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের ভবন ধ্বস ঠেকানোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে।

আলীকদম উপজেলার গয়াম ঝিড়ি পঞ্চবিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জ্যোতিষ কুমার চাকমা জানান, গয়াম ঝিড়ি রোয়াম্ভু খালের ঝিড়ির গতিপথ পরিবর্তন করায় নব-নির্মিত বিদ্যালয়টি ঝুঁকিতে পড়েছে। খালটি এমন ভাবে ভেঙ্গেছে মাত্র আট ফিট দুরুত্বে রয়েছে বিদ্যালয়টি। দ্রুত নিরাপত্তা দেয়াল নির্মিত না হলে বিদ্যালয়টি ঝুঁকির মুখে পড়বে।

লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মণ্ডল বলেছেন, ভবনগুলো রক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।

জেলা প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়া জানিয়েছেন, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন