বান্দরবানে শিশুদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
বান্দরবানে বেসরকারী সংস্থা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দেয়া শিশুদের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা সিভিল সার্জন।
জানা যায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চিম্বুক পাহড়ে ম্রো সম্প্রদায়ের শিশুদের মাঝে মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়েটিক ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। সিভিল সার্জন অভিযোগ গ্রহন করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
ম্রো নেতা রাংলাই জানান, চিম্বুক পাহাড়ের ওয়াই জংশন এলাকায় অনগ্রসর ম্রো সম্প্রদায়ের চিকিৎসা সেবায় বেসরকারি সংস্থা গণস্বাস্থ্য পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসা সেবার নামে শুরু থেকেই ম্রোদের মাঝে বিভিন্ন সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ করে আসছে। এসব ওষুধ খেয়ে শিশুসহ বয়স্কদের মাঝে নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সম্প্রতি ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে আবারও শিশুদের মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়েটিক ওষুধ সরবরাহ করা হলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অংশৈ জানান, চিম্বুকে স্থাপিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে শিশুদের মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়েটিক ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্থানীয় শর্ত ভাঙ্গারও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, চিম্বুক পাহাড়ের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে যে ওষুধটি সরবরাহ করা হয়, যা গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেডের তৈরি ৫০ মিলিলিটারের এন্টিবায়েটিক ওষুধ জি সেফিক্সিম। ওষুধটির গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা ছিল ০৫/২০১৭। উৎপাদন তারিখ ছিল ০৫/২০১৫। এই ওষুধটি চিম্বুক এলাকার ম্রো পাড়ার শিশুদের দেয়া হয়েছে কয়েকদিন আগে।
ম্রো সম্প্রদায়ের শিক্ষিত ছেলেরা বিষয়টি খেয়াল করার পর সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল ইনচার্জ (বান্দরবান ও কক্সবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জয়নাব আলী জানান, ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন প্যারামেডিক্সসহ দু’জন কর্মরত আছেন। তবে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের ঘটনা জানা নেই বলে জানান।