বান্দরবানে ম্যালেরিয়া সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে
লামা প্রতিনিধি:
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ম্যালেরিয়া সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ১৩ জেলার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা। জেলায় ম্যালেরিয়া আক্রমণজনিত কারণে মৃত্যুর হার কম হলেও সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। এপ্রিল মাস থেকে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বান্দরবান সদর, আলীকদম ও লামায় ম্যালেরিয়ায় শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ মাসে ৬৫ হাজার আরডিটি ও স্লাইডের মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষা করে প্রায় আট হাজার ম্যালেরিয়া রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। জেলার থানচি ও আলীকদমে ম্যালেরিয়া সংক্রমণের হার বেশি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. সোহেল ফরাজি জানিয়েছেন, জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় সরকার, ব্রাক, একতা মহিলা সমিতি ও ঘরণী নামক এনজিও ম্যালেরিয়া নিয়ে কাজ করছে। ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জেলার প্রতিটি পরিবারের পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ছাত্রাবাস, অনাথ আশ্রমে কীটনাশক যুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়েছে। কীটনাশকযুক্ত মশারির মেয়াদ থাকে ৩ বছর।
এজন্য প্রতি ৩ বছর পর প্রতিটি পরিবারের মাঝে কীটনাশক যুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়। কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণের পাশাপাশি আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, রুমা ও রোয়াংছড়ির দুর্গম এলাকায় আইআরএস কর্মসূচির মাধ্যমে ৯ হাজার ৭ শত ২৪ পরিবারের মাঝে স্প্রে করা হয়েছে।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ম্যালেরিয়া রোগী চিহ্নিত করার পর বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও ঔষুধ প্রদান করা হয়। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংশৈ প্রু জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে ম্যালেরিয়া রোগ বিস্তারের জন্য পিক পিরিয়ড। এসময় রোগ নিরূপন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ম্যালেরিয়া জীবানুবাহী মশার বংশ বিস্তার ধ্বংস করতে হবে। ম্যালেরিয়া রোগ থেকে বাঁচার জন্য সচেতন হতে হবে।