বান্দরবানে মানববন্ধন কর্মসূচি ৮ আগস্ট থেকে এগিয়ে ৭ আগস্ট
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ এর সংশোধনী আইন-২০১৬ বাতিলের দাবিতে পার্বত্য চট্রগ্রামে আন্দোলনরত ৫টি সংগঠনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে বান্দরবানের মানববন্ধন কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইন বাতিলের দা্বিতে চলমান আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে লিঁয়াজো কমিটির এক বৈঠকে মিলিত হলে এই স্বীদ্ধা্ন্ত নেন পার্বত্যাঞ্চলের ৫ বাঙ্গালি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
শনিবার পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, তিন পার্বত্য জেলায় পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যে শুধুমাত্র বান্দরবান জেলার কর্মসুচি স্থানীয় কারণে ৮ আগস্ট সোমবার এর পরিবর্তে ৭ আগস্ট রবিবার সকালে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হবে । তবে খাগড়াছড়ির ও রাঙামাটি জেলার ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি অপরিবর্তিত থেকে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আহম্মেদ রাজু, পার্বত্য গন পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদের মহাসচিব অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার, পার্বত্য গন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলম খান প্রমূখ ।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট ২০১৬ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সংবাদ ব্রিফিং এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের ১৪টি সংশোধনীর অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আর সংসদ যেহেতু দুই মাস পরে বসবে, তাই জরুরি বিবেচনায় এটাকে অধ্যাদেশ আকারে জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ঘোষণা প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই আন্দোলনে উত্তাল হতে শুরু করে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
‘উক্ত কমিশন বাস্তবায়নে গঠিত কমিটিতে কোন পার্বত্য বাঙালীকে সদস্য হিসাবে রাখা হয় নি। তা কার্যকর হলে ভূমি কমিশনের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের হাতে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদ করার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পেয়ে যাবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা। আর কমিশনকে ব্যবহার করে সন্তু লারমা কোনো বাঙালি পরিবারকে পার্বত্য চট্টগ্রামে তার ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করলেও কোনো আইন-আদালত কিংবা রাষ্ট্রের প্রতিকার করার ক্ষমতা থাকবে না’ -এই অভিযোগ এনে এবং শীঘ্রই এই সংশোধনী বাতিলের দাবিতে পার্বত্য চট্রগ্রামে আন্দোলন্রত ৫ বাঙ্গালী সংগঠন কর্তৃক ৮ আগস্ট তিন পার্বত্য জেলায় মানববন্দন ও ১০ আগস্ট সকাল সন্ধ্য হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। সংগঠনগুলো হলো, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য গণ পরিষদ, পার্বত্য চট্রগ্রাম সমধিকার আন্দোলন এবং পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি