বান্দরবানে বিভিন্ন মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

Bandarban potima pic-16.9.2014
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আর মাত্র কদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বান্দরবানে সরকারী ভাবে ২৬টি পূজামণ্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নিয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।

জেলা সদর, রুম, থানছি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে ও মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রতিমা শিল্পীরা। এ মন্দিরগুলোতে শুধু দেশি ও শিল্পীরা কাজ করছেন।

জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর মন্দিরের সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। এ বছর বান্দরবান জেলায় সরকারী ভবে ২৬টি এবং ঘরোয়া ও ছোট আকারে ২৫ টি সব মিলিয়ে ৫০টি মন্ডপে পুজা মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বান্দরবান পৌর এলাকায় ৬টি, সদর উপজেলায় ১১টি, লামায় ৮টি, আলীকদমে ৩টি অন্য চার উপজেলা একটি করে মন্দিরে সরকারী ভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মন্দির ছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবেও অনেক বাড়িতে পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।

বান্দরবান জেলা সদরে রাজার মাঠে সবচেয়ে বড় পূজা অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় বাঙালী সম্প্রদায় ছাড়াও ১১ পাহাড়ী জাতির বসবাস। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গোৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভীড় জমায় পূজা মন্ডপে। সনাতনী ধর্মলম্বীদের সাথে মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানরা যোগ দেয় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। জাতিতে জাতিতে মিলেমিশে সম্প্রতির বন্ধনে আবদ্ধ হয় পূজা মন্ডপে। এ পূজা সার্বজনিন পূজায় পরিণত হয়।

সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ্বর (বিপ্লব) জানান, এ বছর দক্ষিণ চট্টগ্রামের সেরা শিল্পি মিহির আচার্য্য প্রতিমা তৈয়ার করেছেন। তিনি আশা করেন অন্য বছরের চাইতে এ বছর তাদের প্রতিমা অনেকটাই ভিন্নধর্মী হবে। ৩০ ফুট উচ্চতা ও ৬০ ফুল লম্বায় প্রতিমা য়ৈার করা হয়েছে। যা কিনা দর্শনার্থীদের মন কাড়বে। এবারের বিশেষ আকর্শন প্রবেশ ধারে ইলেক্ট্রিক্যাল পদ্বতিতে মা দূর্গার দশ হাতে ১০ দেবতা অস্ত্র জমা দেবেন। এছাড়া ৬ষ্টিতে খ্যাতিমান নকূল কুমার বিশ্বাস সংগীত পরিবেশন করবেন।
তিনি জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও শারদীয় দুর্গাপূজায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশানের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে গত শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও রবিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আনসার নিয়োজিত থাকবে বলে প্রশাসন থেকে আশ্বাস দিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন