বান্দরবানে প্রচারণায় এগিয়ে আ’লীগ, পিছিয়ে বিএনপি


নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
আসন্ন সংসদ নির্বাচন- ২০১৮ উপলক্ষে পুরো জেলায় নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগের একদিন পর বিএনপি মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। এতে দুইজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু প্রচারণায় মাঠে নেই দলের কোন নেতাকর্মী।

সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগে অভ্যান্তরীণ কোন্দল না থাকায় তফসিল ঘোষণার পর দলীয়ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিকে মনোনয়ন দেয়। এরপর থেকে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়েনের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে দলটির নেতারা। এমনকি প্রতিদিন দু পৌরসভায় ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পাড়ায় পাড়ায় পর্যন্ত বীর বাহাদুর বা নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্য দলটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনী কমিটি ও উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে কমিটি জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রচারণায় সরকারের উন্নয়ন ও বীর বাহাদুরের নেতৃত্বে উন্নয়নগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। এর ফলে ভোটারদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির একাধিক নেতৃবৃন্দ।

প্রবীণ ভোটাররা বলেছে, ১৯৯১ সালে খেলার মাঠ থেকে উঠিয়ে বীর বাহাদুরকে দলীয় প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। সেই থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বীর বাহাদুরকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল।

পরে তাঁকে উপমন্ত্রীর মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানও করা হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংসদে তিনি বিরোধী দলের হুইপের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বীর বাহাদুরকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় আবারও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। ২০১৪ সালে বিজয় লাভের পর তাঁকে দেওয়া হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

এদিকে বান্দরবানে বিএনপির দুইজন মনোনয়ন পাওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয় রাজনীতি সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, বোমাং রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ১৯৯১ থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সব শেষ নির্বাচনে সাচিং প্রু জেরী ও মাম্যাচিং একমঞ্চে উঠতে পারেননি। এটি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জন্য ‘শাপে বর’ হয়ে দেখা দেয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে ম্যা মা চিংয়ের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নেমে বীর বাহাদুরকে জিততে হয়েছিল মাত্র ৮৫৩ ভোটের ব্যবধানে। এবার মা ম্যা চিং ও সাচিং প্রু একত্রে মাঠে নামলে একটি বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারেন বীর বাহাদুর।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন