বান্দরবানে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫ সন্তানের জননী আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাকিস্তান আমল থেকে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় বসবাস করে আসছেন সুজিত কান্তি দাশ। দীর্ঘ সময় ধরে নিজের সেই পাহাড়ী জমিকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন চাষাবাদের উপযোগী। সে জমিতে চোখ পড়েছে স্থানীয় পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের।
সোমবার বিকালে সুজিত কান্তি দাশ তার জমিতে চাষাবাদের কাজ করছিলেন। এমন সময় স্থানীয় সুচিং প্রু ও তার দুই সন্তান ক্যাসা প্রু এবং ক্যাসিংমংসহ আরো ১০-১৫ জন সুজিত কান্তি দাশের জমি দখল করে ঘেরা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের অবৈধ কাজে সুজিত কান্তি দাশ ও তার স্ত্রী করুণা রাণী বাঁধা দেয়। তাদের উভয়ের মধ্য বাকবিতণ্ডা শরু হয়। এতে সুচিং প্রু ক্ষিপ্ত হয়ে সুজিত কান্তি দাশকে মারধর শুরু করে। এ সময় স্বামীকে বাঁচতে স্ত্রী করুণা রাণী এগিয়ে এলে তাকেও দা, লাঠি দিয়ে মারা শুরু করে সন্ত্রাসীরা। তাদের আঘাতে করুণা রাণী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তখন কয়েকজন মিলে তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে এক সময় করুণা রাণী অজ্ঞান হয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা শান্ত হয়। স্থানীয়রা করুণা রাণীকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি করে। এমনই জানায় আহত ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আহত করুনা রানী বলেন, আমার স্বামী পাকিস্তান আমল থেকে ৩৪৬ নোয়াপতং মৌজার প্রায় ৪ কানি জমি চাষাবাদ করে আসছে। সোমবার সুচিং প্রু ও তার ছেলেরা ঐ জমির কিছু অংশ জোর করে ঘেরা দেয়ার চেষ্ঠা চালায়। আমি ও আমার স্বামী বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের মারধর করে এবং জোর পূর্বক কিছু ভূমি দখল করে নেয়।
তিনি বলেন, নোয়াপতং এর লাল ব্রীজ এলাকায় বাঙ্গালী বলতে আমরাই আছি। আমার স্বামী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হেডম্যানদের কাছে বিচারের আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। তাদের ভয়ে আমরা মামলা করার সাহস পাচ্ছি না। সামাজিকভাবে যদি সমাধান হয় তাহলে ভাল হয়।
করুনা রাণী বলেন, মারের আঘাতে সারা শরীর ব্যাথা হয়ে আছে আমার। ডাক্তার এক্সরে করতে বলেছে। জানিনা কবে সুস্থ হয়ে নিজের ভিটেমাটিতে ফিরতে পারব।