বাঘাইছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পুনরুদ্ধারের দাবিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

DPEO 1

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ৪নং দীঘিনালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের যত্ন কুমার কার্বারী পাড়ায় অবস্থিত বাঘাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পুনরুদ্ধারপূর্বক স্কুলে পড়াশুনার সুষ্ঠু পরিবেশ সুনিশ্চিত করার দাবিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে উক্ত বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ।

 ২০ জুলাই রবিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রামেন্দ্র নাথ পোদ্দার-এর নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ‘সম্প্রতি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর একটি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের জন্য ৫১ নং দীঘিনালা মৌজায় যত্ন কুমার কার্বারী পাড়া ও শশী মোহন কার্বারী পাড়ায় ২৯.৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু উক্ত পরিমাণ জমির বাইরেও বিজিবি ২ নং বাঘাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাঠামোসহ দুই একর ও অপর এগার জন ব্যক্তির অনির্দিষ্ট পরিমাণ জমিরও দখল নেয়।

গত ১০জুন ২০১৪ এই জমি অধিগ্রহণ ও দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদ জানালে বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়নের সদস্য, পুলিশ ও বিজিবির নিয়োজিত শ্রমিকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনার পর বিজিবি স্কুলের ভবনসহ (ছাদ ধালাই করা পাকা দালান) জমি তাদের দখলে নেয় এবং অধিগ্রহণকৃত জমির সাথে তা অন্তর্ভুক্ত করে চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়। এরফলে স্কুলটি পুরোপুরি বন্ধ হযে যায়।’

স্মারকলিপিতে তারা আরো বলেন, ‘বিদ্যালয়টি সরকারী রেজিষ্ট্রিকৃত এবং তদানিন্তন পাকিস্তান সরকারের আমলে ১৯৬৭ সনে স্থাপিত। তখন স্কুলটির নাম ছিল কায়দে আজম মো: আলী জিন্নাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্বাধীনতার পর এর নাম পরিবর্তন করে ২নং বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি আমাদের এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। এই স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে অনেকে পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছে। স্কুলে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০৫ জন।’

গোবিন্দ কার্বারী পাড়া, ধনুর্ধর কার্বারী পাড়া, যত্ন কুমার কার্বারী পাড়া ও শশী মোহন কার্বালী পাড়া-এই চার গ্রামের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে লেখাপড়া করে থাকে উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ‘এলাকায় এই বিদ্যালয়টি ছাড়া আর কোন প্রাইমারী স্কুল নেই। আমরা সবাই গরীব ও কৃষিজীবী হওয়ায় এলাকার বাইরে কোন স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা আমরা চিন্তাও করতে পারি না। তাই আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা নিয়ে ভীষণ দুচিন্তা ও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি।’- প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন