বাঘাইছড়ি পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও নির্বাচন পরবর্তী সংহিসতার অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

press confarance pic copy

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌর নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এবং নির্বাচন পরবর্তী পুলিশি হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভা নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান আজিজ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটি শহরের রেইনবো নামক একটি রেস্তুরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভা নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান আজিজ, রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু, জেলা ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল শুক্কর তালুকদার, সদর উপজেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, বাঘাইছড়ি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার সহকারী কমান্ডার মো. হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন এবং বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান আজিজ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতার পক্ষের সরকারের আমলে কেবলমাত্র নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দন্দ্বিতা করার অপরাধে আমাকে এবং আমার পরিবার ও সমর্থকদের জঘন্যতম, অমানবিক, হিংসাত্মক আক্রমণ ও অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ আমার বাসায় হামলা ও পরিবারের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে লাঞ্চিত হতে হবে- একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কখনো কল্পনা করতে পারিনি।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসন অর্থ লোভে তথা ব্যক্তিস্বার্থে নির্বাচনে পক্ষপাত আচরণ ও ক্ষমতাধর দলীয় ক্যাডারদের টোকেন দিয়ে লাইন ধরে একজনকে ৫টি থেকে ১০টি ব্যালেট পেপার সরবরাহ করে নির্বাচন কারচুপি করার সুযোগ করে দিয়েছিল ক্ষমতাধর দলীয় ক্যাডাররা। তাই আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌরসভা নির্বাচন। এতে ৩৭৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জাফর আলী খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন ২২২৭। অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মো. ওমর আলী পেয়েছেন ১৭৯৮ ভোট। এটি ছিল নতুন সিইসি নুরুল হুদা কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন