বাইশারীতে অপহৃত ব্যক্তি ৪৬ ঘন্টা পর মুক্তিপণে মুক্ত

IMG_8449 copy (1)

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড করলিয়ামুরা গ্রাম থেকে ১৫ এপ্রিল ভোর রাত ৩টার দিকে অপহরণের শিকার মোহাম্মদ ইউনুছ (৩২) কে দীর্ঘ ৪৬ ঘন্টার পর ১লাখ ৬৬ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করে দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। রবিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে রামু উপজেলার গহীন অরণ্যে ঈদগড় রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চল বৈধ্য পাড়া এলাকায় ছেড়ে দেওয়া  হয় তাকে।

জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর মোহাম্মদ ইউনুছ স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দীর্ঘ ৪৬ ঘন্টা কালো পাহাড়ে হাঁত পা বেঁধে চরম নির্যাতন করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণের টাকার জন্য। বেদম প্রহার করে মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের নিকট মুক্তিপণের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে বলে তিনি জানান। তবে তিনি সাংবাদিকদের নিকট প্রকাশ্যে বলেন, অপহরণকারীদের সে চিনতে পেয়েছে এবং এদের দলে চার জন চিহ্নিত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীও রয়েছে।

অপহৃত ইউনুছ আরও বলেন, বাইশারী এলাকার ভাড়ায় চালিত আবু প্রকাশ আবুইয়া নামের একজন মটর সাইকেল চালক অপহরণকারীদের সার্বিক সহযোগিতা এবং সেই মটর সাইকেল চালকের মাধ্যমে সরাসরি মুক্তিপণের টাকা গুলো সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাছাড়া সন্ত্রাসীরা সার্বক্ষণিক টাকা দিতে আসা পরিবারের সদস্যদেরকে তার মটর সাইকেলে করে যেন আসে তা মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।

ঐ ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর থেকে মটর সাইকেল চালক আবু প্রকাশ আবুইয়া এখন এলাকা থেকে উধাও হয়ে গেছে। রবিবার রাতে মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃত ইউনুছ উদ্ধারের পর পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে তার সাথে কথা বলে এবং ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জিজ্ঞাসাবাদ করে।

উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার দাস মোবাইল ফোনে জানান, এএসপি সার্কেল লামা ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ আমি সোমবার বিকাল ৩টার দিকে আবারও ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাচ্ছি। অবশ্যই অপহরণকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও জানান, এখনো পর্যন্ত থানায় কোন ধরনের মামলা রুজু হয় নাই। অপহৃত ইউনুছ জানান, তিনি অবশ্যই মামলা দায়ের করবেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন