Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা, মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয়

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে জন্য সীমান্তের কাছাকাছি ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা সমবেত হয়েছে। মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম জানায়, খাবারের স্বল্পতা এবং প্রধানত বৌদ্ধদের হামলার আশঙ্কায় তারা এখন সীমান্ত অতিক্রমের অপেক্ষায় আছে।

গত পাঁচ সপ্তাহে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের সংখ্যা এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। ফলে মিয়ানমার তাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার বাস্তবতা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধিবাসীদে প্রায় অর্ধেক পালিয়ে গেছে। গ্রাম ত্যাগ করতে রোহিঙ্গাদের ওপর চাপ সৃষ্টির কারণে তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে গুরুতর সহিংসতা দেখা দিয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলার পর মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী নৃশংস দমন অভিযান শুরু করে। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয়-পৃষ্ঠপোষকতার গ্লোবাল নিউ লাইট পত্রিকায় মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বলা হয়, “প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যেতে ১০ হাজারের বেশি ‘মুসলিম’ লেতফবেকিয়া ও কোয়ানথপিন গ্রামে জড়ো হয়েছে।”

মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের কোনো জাতিগত গ্রুপ হিসেবে স্বীকার করে না। তারা তাদেরকে ‘মুসলিম’ বা ‘বাঙালি’ হিসেবে অভিহিত করে।

কর্তৃপক্ষ পলায়নপর রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে, তারা এখন রাখাইনে নিরাপদ।

খবরে বলা হয়, তারা ‘তাদের নিজের ইচ্ছায়’ চলে যাচ্ছে।

উত্তর রাখাইনে সহিংসতা কমে আসছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে সেনাবাহিনী ওই এলাকায় গিয়ে খবরের সত্যতা যাচাই করার সুযোগ দিচ্ছে না।

ভয়ের কারণেই এখনো সেখানে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গারা পালিয়ে যেতে চাইছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বৈরী রাখাইন প্রতিবেশীরা তাদের হুমকি দিচ্ছে, সাহায্য সংস্থার তৎপরতা ভ-ুল করে দিচ্ছে।

রোহিঙ্গারা এখন দিনে চার থেকে পাঁচ হাজার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবি’র লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম এএফপিকে বলেন, তারা মিয়ানমারে থাকতে চাইছে না। তারা এখানে আসতে চাচ্ছে। তাদেরকে চলে যেতে বলা হচ্ছে।

খাবারও ফুরিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীরা ভয় পাচ্ছে, তারা ফসল তুলতে গেলে তাদের প্রতিবেশীরা তাদের ওপর হামলা করবে।

রোহিঙ্গা আডভোকেসি গ্রুপ আরাকান প্রজেক্টের ক্রিস লেওয়া এএফপিকে বলেন, অনেক রাখাইন গ্রাম অতিক্রম করতেও ভয়ের সৃষ্টি হয়।

 

সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর ডট কম

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন