বাংলাদেশি রাখাইনদের ব্যবহার করছে মিয়ানমার বাহিনী

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে মাদকদ্রব্যসহ দুই রাখাইন যুবক আটক হওয়ার পর পুলিশ বলছে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ওই সম্প্রদায়ের লোকজনদের মাদক পাচারে ব্যবহার করছে।

রবিবার রাতে গ্রামপুলিশ অভিযান চালিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ওই দুই রাখাইন যুবককে আটক করে।

পরে তাদেরকে ঘুমধুম ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটক নিছামং তংচংগ্যা (৩২) ও লেইগ্যা তংচংগ্যা (৩৫) পুলিশকে জানান, তাদেরকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা ডেকে নিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচার করতে একপ্রকার বাধ্য করেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা দুই রাখাইন যুবক বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা তাঁদের ডেকে নিয়ে জানায়, রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গাশূন্য হয়ে পড়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বেকায়দায় পড়েছে। এতদিন বিজিপি সীমান্তে মাদক পাচারের কাজে রোহিঙ্গাদের কাজে লাগাত। কিন্তু যেসব রোহিঙ্গা বিজিপির মাদক পাচার করত তারা নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাই সীমান্তে মাদক পাচারে নতুন করে পাচারকারি সংগ্রহ করছে এরা।

বাংলাদেশের ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়া গ্রামের গ্রামপুলিশ সদস্য ছৈয়দ আলম জানান, আগে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা ইয়াবা ও মাদকদ্রব্যসহ মিয়ানমারের তৈরি পণ্য সামগ্রী এদেশে পাচার করে আসছিল। বিনিময়ে এখান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গিয়ে সেখানকার সেনা ও বিজিপি সদস্যদের সরবরাহ করত। পাশাপাশি নিজেদেরও চাহিদা পূরণ করত।

কিন্তু চলমান প্রেক্ষাপটে ওপারের সীমান্ত এলাকার রোহিঙ্গারা এদেশে পালিয়ে আসায় বেকায়দায় পড়েছে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি এবং সেদেশের রাখাইন জনগোষ্ঠী।
সীমান্ত দিয়ে এপারে পাচারের সময় বিদেশি মাদকসহ আটক বাংলাদেশি রাখাইন যুবক নিছামং তংচংগ্যা ও লেইগ্যা তংচংগ্যা জানান, মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্যরা তাঁদের মাদকদ্রব্য সরবরাহ করেছে। সেগুলো স্থানীয়ভাবে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছিলেন তারা।

ঘুমধুম ফাঁড়ির পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আটক দুই রাখাইন যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন