Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

বাংলাদেশি জেলেদের সাগরে ফেলে দিয়ে ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমার পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে পানিতে ফেলে দিয়ে মাছসহ ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। পরে নাফনদী থেকে ওই পাঁচ জেলেকে উদ্ধার করেছে বিজিবির সদস্যরা।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে সেন্টমার্টিনের পূর্ব-দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, রোভেল (২৫), মো. ইলিয়াছ (২২), নাজিম উদ্দিন (২৬), সৈয়দ উল্লাহ (৩০) ও আলমগীর (৩০)। এদের বাড়ি টেকনাফ সাবরাং বাহারছড়ার এলাকায়

উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, শুক্রবার ভোরে বাংলাদেশে জলসীমানায় সাগরে মাছ ধরছিলেন তারা। এ সময় মিয়ানমার পুলিশ একটি স্পিড বোটে এসে অস্ত্র তাক করে তাদের ঘিরে ফেলে। পরে মারধর করে তাদের সাগরে ফেলে দিয়ে মাছসহ ট্রলার নিয়ে চলে যায় তারা।

জেলেরা আরও জানান, সাগর থেকে সাঁতরে নাফনদীর শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার কাছাকাছি পৌঁছলে বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।

ট্রলার মালিক মো. ইয়াছিন জানান, প্রতিদিনের মত বঙ্গোপসাগরের ওই এলাকায় কয়েকটি ফিশিং ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যায়। এই সময় হঠাৎ করে মিয়ানমার পুলিশ বাহিনীর একটি স্প্রিডবোট কয়েকটি নৌকাকে ধাওয়া করে বলে ফোন করে জানায় ফিশিং ট্রলারের মাঝি সৈয়দ উল্লাহ। পরে তার মোবাইল ফোনে আর সংযোগ পাওয়া যায়নি। সকালে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে নাফনদী থেকে পাচঁ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নাফনদীতে মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে মাছ শিকারের নামে টাকার লোভে রোহিঙ্গাদের আনতে গিয়েছিল বলে তাদের ধারণা।

তিনি আরও জানান, জেলেদের আটক করা হয়েছে এবং ট্রলার নিয়ে যাওয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন