বসন্তের কোকিলের জন্য যেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোণঠাসা না হয়: রামগড়ে ওবায়দুল কাদের

29

রামগড় প্রতিনিধি:

আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বসন্তের কোকিল আছে। সতর্ক থাকতে হবে  বসন্তের কোকিলের জন্য যেন দলের প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোণঠাসা না হয়। কলহ, কোন্দল ও বিভেদ সৃষ্টিকারীদের স্থান আওয়ামী লীগে নেই। আগামীতে দ্বন্দ্ব কলহের বাহিরে থাকা তৃতীয় একজনকে দলীয় নমিনেশন দেয়া হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা পাহাড়কে অত্যন্ত ভালবাসেন। বঙ্গবন্ধুও ভালবাসতেন। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের বহুকালের ভূমি সমস্যার সমাধানে আইন পাশ করা হয়েছে। শীঘ্রই ভূমি সমস্যার সমাধান হবে। পার্বত্য শান্তিচুক্তির সকল বিষয় অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করা হবে ।

আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে বিদেশীরা তাদের ক্ষমতায় বসাবে। কারণ এদেশের মানুষের উপর তাদের আস্থা, বিশ্বাস নেই। তাই তারা বিদেশীদের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শুধু  নালিশ করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রামগড় বাস স্ট্যান্ডে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণসংর্বধনা ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতু মন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান  শাহআলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায়  আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) এনামুল হক শামিম, কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহি সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত আসনের এমপি ফিরোজা বেগম চিনু, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমসহ জেলা ও  উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে  আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে যদি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অংশ নিতেন তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস অন্যরকম লেখা হত। কিন্তু খালেদা জিয়া নির্বাচনে না এসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আন্দোলন  করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, খুব শীঘ্রই সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উপর রামগড়-সাব্রুম মৈত্রী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করবে ভারত। এর ফলে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য তথা  ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। খাগড়াছড়িতে ৪৩টি ব্রিজ ও ১৩টি নতুন কার্লভাট নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এর আগে ১৮টি নতুন  ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। জালিয়াপাড়া-সিন্ধুকছড়ি-মহালছড়ি সড়কের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে। তারা যথাসময়ে কাজটি সমপন্ন করবে। ইতোপূর্বে  ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মাটিরাঙ্গা -তানাক্কাপাড়া সড়কের কাজও করা হয়েছে। এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে উন্নয়ন চলছে। জনসভা শেষে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রামগড় করেরহাট সড়কের সোনাইপুল ব্রিজ নির্মাণের কাজ পরিদর্শন ও  রামগড়ের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম সুলতান আহমেদের কবর জেয়ারত করেন।

এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের  আগমনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গাড়ি ভাংচুর এবং পুলিশের সাথে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন