বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ৭ মার্চের সেই ভাষণটি উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করেছিল বাঙালি জাতিকে
গুইমারা প্রতিনিধি:
গুইমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তির দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ৭ মার্চের সেই ভাষণটি উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করেছিল বাঙালি এ দেশের জাতিকে। সেই ভাষণ থেকেই মুক্তিকামী বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দিক-নির্দেশনা পেয়েছিল। পেয়েছিল সংগ্রামের অনুপ্রেরণা।
খাগড়াছড়ির গুইমারায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরী অব দ্যা ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের” স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জন উপলক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী কর্মসূচির আলোকে গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে উশ্যেপ্রু মারমা এসব কথা বলেন।
এর আগে শনিবার(২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে গুইমারা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গুইমারা টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে টাউন হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় পঙ্কজ বড়ুয়া গুইমারার ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণের জন্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাতির জনকের গুনগ্রাহী বক্তব্য প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটু, গুইমারা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা ত্রিপুরা, গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা। হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাথোয়াই চৌধুরী, গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন গুইমারা কলেজ, গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীরা।
গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ তার আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর গুনাবলী তুলে ধরে জাতির জনকের গুনে নিজেদের গুনান্বীত করতে ছাত্র ছাত্রীদের আহ্বান জানান।,
উপজেলা আআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমা তার বক্তব্যে বলেন জাতির জনকের ১৮মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর অগ্নিঝরা সেই ভাষণ উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত হয়েই বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে লাল সবুজের পতাকা এবং জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর শ্লোগানের মধ্য দিয়ে শেষ করেন।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক এই ভাষণকে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এমওডব্লিউ) এর তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর (সোমবার) প্যারিসে ইউনেস্কোর হেডকোয়ার্টারে এ ঘোষণা দেন মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা।