Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

ফেসবুকের প্রাইভেসি নিয়ে জাকারবার্গের নতুন পরিকল্পনা

ডেস্ক রিপের্ট

ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের তথ্য সারা দুনিয়ার সাথে শেয়ার করার বিষয়টিকে আজকাল আর মোটেও ফ্যাশন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না।

বরং অচেনা দুনিয়ার সামনে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য উদোম করে দেয়াটিকে আজকাল সেকেলেই ভাবা হচ্ছে।

তাই, সেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জায়গা থেকেই ফেসবুকের ‘ফেস রিগকনিশান’ বা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চেহারা চিনে ফেলার প্রযুক্তির সমালোচনা চলছে।

স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিটিকে ব্যক্তির মুখ চিনে ফেলার বিষয়টিকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করছেন ক্যাম্পেইনার বা প্রচারণাকারীরা।

তাই সব মিলিয়ে পরিস্থিতির চাপে ফেসবুকের গোপনীয়তার নীতিতে সামনেই বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।

সম্প্রতি নিজের একটি ব্লগ পোস্টে এই বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন মার্ক জাকারবার্গ।

মি. জাকারবার্গের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি ফেসবুকের আলাপচারিতাকে আরো বেশি ইনক্রিপশান বা গোপনীয়তার নীতিতে আনতে চাচ্ছেন।

দুইজন ব্যক্তি যখন ফেসবুকে চ্যাট করবেন বা বার্তা আদান-প্রদান করবেন তখন সেগুলো, ভবিষ্যতে এনক্রিপটেড থাকবে বলে জানিয়েছেন মি. জাকারবার্গ।

এই বিষয়টি নিয়ে লন্ডনের কিংস কলেজের মিডিয়া, কমিউনিকেশন এন্ড পাওয়ার বিভাগের ড. মার্টিন মুর বলেছেন, মি. জাকারবার্গ হয়তো চীনের কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।

ড. মুর বলছিলেন যে, চীনে উইচ্যাট বলে যোগাযোগের যে অ্যাপটি রয়েছে সেটির ব্যবহার করতে হলে এখন একটি নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়। উই চ্যাটের এখন গ্রাহক ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি।

বিজ্ঞাপন না নিয়েও যে এই পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জন করা যায় সেই বিষয়টিই এখন হয়তো ফেসবুককে আকর্ষণ করছে বলে মনে করছেন ড. মার্টিন মুর।

তবে, ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক চলছে। চেহারায় বা চুলে খুব সামান্য একটুখানি হেরফের আনলেই ফেসবুক রিকগনিশন প্রযুক্তিকে খুব সহজেই ফাঁকি দেয়া যায় বলেও মত তুলে ধরেছেন অনেকে।

এই বিষয়ে প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল এর ফ্রেডরিক কালটিওনার বলছেন, নিরাপত্তার প্রসঙ্গটি দুই ধরণের প্রশ্নের জন্ম দেয়। এরমধ্যে এই ধরণের প্রযুক্তি ব্যাবহার কতখানি বিশ্বাসযোগ্য সেটি হচ্ছে একটি প্রশ্ন। আর আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রযুক্তির ব্যবহার আদৌ যথার্থ কিনা?

এসব প্রশ্নের কারণেই ফেসবুক রিকগনিশন প্রযুক্তি নিয়ে এখন সাধারণের মাঝেও বিতর্ক চলছে।

সূত্র: বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন