‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ রক্ষায় বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম’
উখিয়া প্রতিনিধি :
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. শুকুর আলী বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জ্বলোচ্ছাস ও ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বনায়নের কোন বিকল্প নেই। গাছ মানুষকে সু-রক্ষার পাশা-পাশি আর্তনির্ভরশীল করতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে সামাজিক বনায়ন দারিদ্র বিমোচনে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। দেশে হাজার হাজার দরিদ্র উপকারভোগী স্বাবলম্বি হয়ে নিজেরা ভাগ্যের পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছে। তাই শুধু সরকারী বনাঞ্চল নয় প্রত্যেক বসত ভিটায় ফলজ বনজ ও ঔষুধী গাছ রোপন করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন দোছড়ি বনবিটের সামাজিক বনায়ন ও দীর্ঘ মেয়াদী বনায়ন পরিদর্শন কালে উপ-সচিব (ডেপুটি সেক্রেটারী) এ কথাগুলো বলেন। পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো: আলী কবির, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম এবং দোছড়ি বিট কর্মকর্তা মো: আমির হোসেন গওজ নবী।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. শুকুর আলী ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন দোছড়ি বনবিটে চলমান কোরজোন ও বাপারজোন এলাকায় বনায়নের প্রকল্প সমূহ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। বনায়নের কর্মকান্ড ও বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপণের পদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে অংশীদারিত মূলক (সিআরপিএআর) কর্মসূচীর আওতায় চলতি অর্থ বছরে দোছড়ি বনবিটে ৩০ হেক্টর বনভূমিতে দীর্ঘ মেয়াদী ও ২৮ হেক্টর বনভূমিতে স্বল্প মেয়াদী সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে বনায়নের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে বলে তিনি বলেন।
এদিকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. শুকুর আলী দুপুরে ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন নির্মাণাধীন জালিয়াপালং বনবিট কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এসময় ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা ব্রজ গোপাল রাজ বংশী ও জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।