Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ৭ শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল এলসিটি ‘কাজল’ 

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে প্রশাসনের অনুমতি বিহীন ৭৫০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল এলসিটি কাজল নামে একটি লক্করঝক্কর জাহাজ।

মঙ্গলবার(২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটক নিয়ে যেতে চাইলেও পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রনয় চাকমা বাধা দেয়। এর পর থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত বসে থাকে পর্যটক ও জাহাজ। পরে পর্যটকরা হৈ-চৈ শুরু করে দিলে বাধার মুখে পড়ে জাহাজ কর্তৃপক্ষ। পরক্ষণে জাহাজ কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর অনুমতির জন্য আবেদন করছে মর্মে বিকেলে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় সেন্টমার্টিন পৌঁছে বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে-এ পর্যন্ত সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন ও বেক্রুজ নামে তিনটি জাহাজকে অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু হঠাৎ এই লক্করঝক্কর বিকল হওয়া এলসিটি কাজল ২৬ নভেম্বর ঘাটে ভিড়ে। একদিনের মাথায় কোন ধরনের অনুমতির কাগজপত্র ছাড়াই ৭৫০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে কিভাবে ঝুঁকি নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল তা সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন-একটি ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ যদি অনুমতি ছাড়া সেন্টমার্টিন গমন করে তাহলে পথিমধ্যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এর দ্বায়ভার কে নিবে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, এলসিটি কাজল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অনুমতি নেয়নি। হঠাৎ মঙ্গলবার সকালে দমদমিয়া ঘাট থেকে ৭৫০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে এ্যাসিল্যান্ড প্রনয় চাকমা ঘাটে গিয়ে জাহাজ না ছাড়তে নিষেধ করে চলে আসে। পরে শুনেছি বিকেলে সেই জাহাজ সেন্টমার্টিন গেছে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য- গেলবছর অদক্ষ চালকের কারণে ‘এলসিটি কাজল’ বঙ্গোপসাগরে ডুবোচরে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় আটকা পড়ে। ওই জাহাজে কমপক্ষে সাড়ে সাতশ’ পর্যটক ছিল যা ধারণ ক্ষমতার দুই গুণ বেশি।

স্থানীয়রা জানায়, ‘এলসিটি কাজল’ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলের যোগ্য নয়। তবুও প্রশাসন কিভাবে জাহাজটিকে চলাচলের অনুমতি দেয় তা বোধগম্য নয়।

এর আগেও গেল বছরের ৩ জানুয়ারি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে পর্যটক নিয়ে মাঝপথে আটকা পড়েছিল পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এলসিটি কাজল’।

এছাড়া এই জাহাজটি প্রায় এক হাজার যাত্রী নিয়ে বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ‘এলসিটি কাজল’ বিআইডাব্লিউটিসি’র জাহাজ বিকল হয়ে যায়। জাহাজটি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে সীতাকুন্ডের কুমিরা ঘাটে আসছিলো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন