প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ৮টি গ্রামে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়িতে টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার ভোর থেকে টানা বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, মেহেদীবাগ, মিলনপুর, সাতভাইয়া পাড়া মুখ, খবংপুড়িয়া, শান্তিনগর, অর্পণা চৌধুরী পাড়া, কল্যাণপুরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
শতাধিক পানিবন্দী পরিবার শহরের শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুসলিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পাশাপাশি টানা বর্ষণের ফলে খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক পাহাড় ধ্বস দেখা দিয়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আশপাশের গ্রাম ও গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এদিকে প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, মোল্লাপাড়া, কৈবল্যপিঠ, আঠার পরিবার, শালবন, হরিনাথপাড়া গ্যাপ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ব্যাপক পাহাড় ধ্বস দেখা দিয়েছে। জেলায় ১৭ টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, অতীতে কখনো খাগড়াছড়িতে একদিনের বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার নজির নাই। সম্প্রতি সময়ে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন খাল, ছড়া ও জলাশয় দখল হয়ে যাওয়ায় কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যা হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রকৃতি আমাদের সতর্ক সংকেত দিচ্ছে বড় ধরণের বিপর্যয়ের। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম জানান আরও জানান, বন্যা দূর্গত যারা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা হবে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধ্বসের শঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।