প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দুর্গম এলাকায় আবাসিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে
সাজেক প্রতিনিধি:
পরিচালক প্রকল্প উন্নয়ন মাউশি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকায় অবহেলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ছেলে মেয়েদের শিক্ষার মানোন্নয়ন সুযোগ সুবিদা বৃদ্ধি ও ঝরেপড়া রোধ করতে বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্রগ্রামে ১৩টি নতুন আবাসিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে তার মধ্যে রাঙ্গামাটি সাজেকে একটি এবং বরকল উপজেলাতে একটি।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এসব আবাসিক বিদ্যালয়ের ধরন হবে আধুনিক মডেল যাতে থাকবে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক আবাসিক ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, খেলার মাঠসহ আরও অনেক সুবিধা।
শনিবার সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বৃহত্তর সাজেক ইউনিয়নের উলুছড়া এলাকায় আবাসিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত জমি দেখতে এসে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিচালক প্রকল্প উন্নয়ন মাউশি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন এসব কথা বলেন।
উলুছড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১০টায় মতবিনিময় সভায় সাজেক ইউপি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বড়র ঋষি চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান দিপ্তিমান চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়াম্যান সুমিতা চাকমা প্রমুখ।
এসময় বিশেষ অতিথি ও সভাপতির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সারা দেশের ন্যায় পিছিয়ে পড়া সাজেকবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যে উদ্যোগ তা অবশ্যই সাজেকবাসীর উন্নয়নের জন্য অভাবনীয় পরিবর্তনের ধাপ। এ জনপদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোকজন চিকিৎসা ও শিক্ষা থেকে সবসময় পিছিয়ে ছিলো। টাকার অভাবে অনেক ছেলে মেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষার পরপরই ঝরে পড়তো, এলাকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকার আবাসিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য সাজেকবাসী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপজাতীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় গান ও নৃত্যের মাধ্যমে প্রধান অতিথিকে অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালীন মাঝামাঝি সময়ে ঝড়ো হাওয়ায় অনুষ্ঠানের স্থল/মঞ্চ লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় তাই অনুষ্ঠান দ্রুত শেষ করা হয়।