প্যাকেটের ভিতরে সিমেন্ট ও বালি ঢুকিয়ে দিয়ে ছয় শিক্ষকের সাথে প্রতারণা

v Card copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিরীহ জনগন প্রায়ই সর্বশান্ত হচ্ছে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে। প্রতারকচক্ররা নিরীহ জনগনকে বাদ দিয়ে এবার ঝুঁকে পড়েছে শিক্ষিত সমাজে। এ শিক্ষিত সমাজে প্রথম প্রতারণার শিকার হয়েছে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষক। প্রতারণার খপ্পরে ফেলে তাদের থেকে আট হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক প্রতারক। প্রতারকের খপ্পরে পড়া শিক্ষকেরা হলো মো: আবুল কাসেম বিএসসি, রাজীব বল, শুকরিয়া চাকমা, দীলিপ দাস, মহিউদ্দিন মোহিন ও সুলতান মাহামুদ। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, প্যান্ট-শার্ট পরা এক ভদ্রলোক বেলা ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে এসে নিজেকে চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজারের ঊষাখাঁ ইলেকট্রিকের সত্বাধিকারী দাবী করে। সে মার্জিত ভাষায় জানায়, তার ব্যাগে ৬টি অটো পাওয়ারের চার্জার রয়েছে। যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুতের বোর্ডের সকেটে লাগালে ৬ ঘন্টা পর অটো চার্জ হবে যার মাধ্যমে ১টি ফ্যান ও ১টি লাইট জ্বলবে। মূল্য তিন হাজার পাঁচশত টাকা। কিস্তিতে নিলে মাসিক তিনশত টাকা।

এ কথা শুনে শিক্ষকদের আগ্রহ বাড়ে দ্বিগুন এবং শুরু হয় কাড়াকাড়ি কে আগে নিবে। এর মাঝে ঐ ভদ্রলোক আবার জানায়, একটা স্পেশাল পেকেজ রয়েছে যাতে ৬টি চার্জার পাওয়া যাবে মাত্র এক হাজার তিনশত পঞ্চাশ টাকায়। তবে নগদ টাকার প্যাকেজ। এ কথা শুনে শিক্ষকরা অতি লাভের আশায় এক হাজার তিনশত পঞ্চাশ টাকার প্যাকেজে নেয় ৬টি চার্জার। এক বছরের গ্যারান্টি ও নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে ৬টি চার্জারের মূল্য আট হাজার টাকা বুঝে বিদায় দেয় ঊষাখাঁ ইলেকট্রিকের সত্বাধিকারী।

এদিকে বিদ্যুৎ যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর চার্জার দিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না দেখে শিক্ষকরা চার্জার খুলে দেখে ভিতরে সিমেন্ট ও বালু মিশানো কয়েকটি টুকরো যা দেখে সবার মাথায় হাত। ঊষাখাঁ ইলেকট্রিকের সত্বাধিকারীর মোবাইলে ফোন দিয়ে সংযোগ না পেয়ে বুঝতে পারে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে আট হাজার টাকা শেষ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন