পেকুয়া থানা পুলিশের নভেম্বর মাসের আইন-শৃঙ্খলা প্রতিবেদন

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় চলতি বছরের নভেম্বর মাসের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে থানা পুলিশ। এতে এলাকায় অপরাধ দমন ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিভিন্ন বিষয়ের তথ্যাধির প্রকাশ করা রয়েছে।

পেকুয়া থানা পুলিশের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এএসআই মোঃ নাজির হোসেন এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমান ওয়ারেন্ট তামিল ছাড়াও একাধিক অস্ত্র ও মাদক সামগ্রী উদ্ধার, নিয়মিত মামলার আসামী গ্রেপ্তারসহ ফৌজদারী অপরাধে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ১ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করে সাজা প্রদান করে। মাদকের বিরুদ্ধে সৌচ্ছার পেকুয়া থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট এলাকায় কঠোর নজরদারী অব্যাহত রাখায় ৪১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে মাদক আইনে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সৌপর্দ করেছে পুলিশ।

থানা সূত্র প্রদত্ত প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে পেকুয়া থানা পুলিশের পরিচালিত নিয়মিত ধারাবাহিক অভিযানে জিআর মামলায়-২৯টি, সিআর মামলায় ২৪টি ওয়ারেন্ট তামিলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পলাতক আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সৌপর্দ করা হয়। একই সাথে চলতি মাসে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ মূলক ঘটনায় পুলিশ ১৫টি মামলা রুজু করে ঘটনায় জড়িত এজাহার নামীয় ১১জন নিয়মিত মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার পূর্বক আদালতে সৌপর্দ্দের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান। এসময় পুলিশের অব্যাহত পৃথক অভিযানে ৪১পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার পূর্বক দু’জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করত তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজুর মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সৌপর্দ করে পুলিশ। নভেম্বর মাসে পেকুয়া থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩’টি দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র এল.জি ও ১টি ১নলা বন্দুক জব্দ পূর্বক তার সাথে সংশ্লিষ্ট ১অস্ত্রবাজকে হাজতে পাঠায়। পুলিশের অব্যাহত ধারাবাহিক তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একই সময়ে ফৌজদারী অপরাধে জড়িতের দায়ে ১জনকে গ্রেপ্তার পূর্বক ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দের মাধ্যমে দণ্ডিত করে পুলিশ।

পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, পুলিশের নিয়মিত ধারাবাহিক অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মুক্তিপন আদায়, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক, অপহরন, ডাকাতি, খুন সহ ডাকাতি, চুরি, দস্যুতা, পুলিশ এ্যাসল্ট, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, প্রতারণা এবং বন-ভুমি দস্যুতার ঘটনার মামলায় জড়িতের অভিযোগে মামলা ছিল। পেকুয়া থানা পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, কক্সবাজারের উপকুলীয় উপজেলা মডেল পেকুয়ার জনপদের মাটি ও মানুষের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক ও নিরাপদ রাখার পাশাপাশি এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, বাল্য বিয়ে, যৌতুক, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, প্রতারণা, বন ও ভূমিদস্যুতা, পাহাড়কাটা এবং মাদকের বিকিকিনী বন্ধ সহ সকল প্রকার অপরাধ দমন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার, সরকারী বেসরকারী সম্পদ এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় নিয়মিত টহলাভিযানের পাশাপাশি পোষাকি ও সাদা পোষাকের নজরদারী মনিটরিং তৎপরতা জোরদার রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(প্রশাসন) জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া চলতি বছরের নভেম্বর মাসে পুলিশের অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আইন, বিচার, রাষ্ট্রের সেবক ও জনগনের বন্ধু হিসাবে পরিচিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রাখার পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর এ তৎপরতা ও সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় সহ সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সহযোগিতা প্রদানের উদ্ধার্থ আহ্বান জানান। একই সাথে মায়ানমারের ঘটনাকে পুঁজি করে যাতে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সার্বক্ষনিক তৎপরতা জোরদার করেছে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন