পেকুয়ায় ৫ সন্তানের জননীকে নির্যাতনের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

1490334694011

পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় ৫ সন্তানের এক জননীকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে খোদ এক ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে, ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ওই জননীর বসতবাড়িতে। জানা যায়, টইটং ইউনিয়নের বটতলি মাদ্রাসা পাড়া এলাকার মনোয়ারা বেগম (২৯) নামের ৫ সন্তানের জননীকে বেত্রাঘাত করে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এ সময় তার মেয়ে জোবাইদা বেগম (৯) কে মারধর করেন তিনি। আহত ওই মহিলা একই এলাকার আবুল কালামের স্ত্রী। বর্তমানে সে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মারধরের শিকার আহত মহিলা মনোয়ারা বেগম স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানায়, তার স্বামী গত ১০ মাস আগ থেকে স্ত্রী সন্তান ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।

৫ মেয়ে তার সংসারে অনেক অভাব। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। খোলা টয়লেট রাখার অভিযোগে এরই মধ্যে ভাশুর আবুল কাশেম চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। ঘটনার দিন চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী চৌকিদার ও তার ভাশুরসহ আরো কয়েকজন বাড়িতে আসে।

এ সময় তিনি কোন কিছু জিজ্ঞেসা না করে লাঠি নিয়ে মহিলাকে মারধর শুরু করে। এক সময় বেত্রাঘাতে আহত হয়ে ওই মহিলা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শিশু কন্যা জোবাইদা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেও তার বেত্রাঘাতে আহত হয়। সে থেকে ২৪ মার্চ দুপুর পর্যন্ত তাকে তার লোক মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতালে যেতে দেয়নি।

পরে স্থানীয় কয়েক সংবাদকর্মী এ বিষয়ে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
1490334294616
এ বিষয়ে নির্যাতিত মহিলার ভাই আনিসুর রহমান জানান, তার বোনকে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী অনেক মারধর করেছে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আইনগত ব্যবস্থা নিব আমরা।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. হাসান জানান, মহিলার মাথায় পিঠে আর নিম্নাংশে জখম রয়েছে। যার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাশুরের সাথে ওই মহিলার বিরোধ নিয়ে ২৩ মার্চ শালিসী বৈঠকে বসছিলাম। এ সময় ওই মহিলা অনেক খারাপ ব্যবহার করছিল। তাই দু’তিনটা লাঠির ভারি মেরেছি মাত্র। তাতে তো সে আহত হওয়ার কথা নয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন