পেকুয়ায় ৫০বছর বয়সী প্রবাসীর সাথে দশম শ্রেণির ছাত্রীর গোপনে বিয়ে!
নিজস্ব প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় ৫০বছর বয়সী এক প্রবাসীর সাথে দশম শ্রেণির ছাত্রীর গোপনে বাল্য বিয়ে হয়েছে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই প্রবাসী ওই ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।
কাবিননামা সম্পাদন না করেই দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রীকে বৃদ্ধার সাথে বিয়ের পিড়িতে বসতে বাধ্য করে তার পিতামাতা। এদিকে ওই প্রবাসীর প্রথম স্ত্রীর সংসারে ২ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম সংসারে ১ মেয়ে ও ১ ছেলের বিয়ে হয়েছে। নাতি নাতনি থাকার পরেও টাকার জোরে বিয়ে করেছেন কোমলমতি ওই ছাত্রীকে। এ খবর চাউর হলে একদিকে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া ছৈয়দনগর এলাকায়। বাল্য বিয়ের শিকার ওই ছাত্রীর নাম কোহিনুর জান্নাত(১৫)। কোহিনুর পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চড়াপাড়া এলাকার আবুল কালামের মেয়ে ও শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানাগেছে। বর জারুলবুনিয়া ছৈয়দনগর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৫০)।
এদিকে স্কুল ছাত্রীর সাথে গোপনে প্রবাসী স্বামীর ওই বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রী লায়লা বেগমকে দফায় দফায় পিটিয়ে আহত করেছেন স্বামী সাহাব উদ্দিন। নির্যাতন চালিয়ে তার প্রথম স্ত্রী তিন সন্তানের জননীকে ঘর ছাড়াও করেছেন ওই স্বামী। গত ৫ দিন আগে লায়লা বেগমকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে তার বাপের বাড়ি বারবাকিয়ায় তাড়িয়ে দিয়েছেন তার স্বামী সাহাবুদ্দিন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাহাব উদ্দিন গত দেড় মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। গত এক সপ্তাহ আগে স্কুল ছাত্রী কোহিনুর জান্নাতকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে জারুলবুনিয়া ছৈয়দনগর তার বাড়িতে নিয়ে যানয়। প্রথম স্ত্রী লায়লা বেগম কিছুতেই এ বিয়ে মেনে নেননি। এ নিয়ে স্বামীর সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এসময় উত্তেজিত স্বামী তাকে দফায় দফায় পিটিয়ে আহত করেন।
এ ব্যাপারে লায়লা বেগম জানিয়েছেন, আমার স্বামী আমার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে ওই মেয়েটিকে ঘরে স্ত্রী হিসেবে নিয়ে আসেন। আমি প্রতিবাদ করায় দফায় দফায় মারধর করে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছনে। গত ৫দিন আগে স্বামী আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। ওইদিন সে আমাকে লাঠি দিয়ে শরীরে আঘাত করে। শ্বশুর নিজেই বিচলিত হয়ে আমাকে বলেছেন তার ছেলে বিপদগামী হয়েছে। তার যে অবস্থা মনে হচ্ছে সে তোমাকে মেরে ফেলবে। তুমি বাপের বাড়িতে চলে যাও।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সাহাব উদ্দিন বিদেশ যাওয়ার আগে একাধিক ফেরারি মামলার আসামী ছিলেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ২/৩টি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।