পেকুয়ায় ২৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুল ছাত্রী
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় অপহরণের ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও কোন হদিস মেলেনি অপহৃত স্কুল ছাত্রীর। জানা যায় পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাজার পাড়া এলাকার বাসিন্দা পেকুয়া বাজারের কাঠ ব্যাবসায়ী আবু ছালেকের মেয়ে ও পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অপহৃত স্কুল ছাত্রী নাসরিন সোলতানা লিলি (১৫)।
এ ব্যাপারে অপহৃত স্কুল ছাত্রীর পিতা আবু ছালেক বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের কালার পাড়া এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে শাকের উল্লাহ(২১)কে আসামী করে গত ৩০ ডিসেম্বর পেকুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩এর ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর পূর্ব থেকে শাকের উল্লাহ নামের বখাটে লিলিকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় মাঝে-মধ্যেই পথরোধ করে অপহরণ করার চেষ্টা করত। এরই মধ্যে গত এক বছর পূর্বে নাসরিন সোলতানা লিলি নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা সাঁকোর পাড় ষ্টেশনে লিলিকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় লিলির চিৎকারে স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে এসে হাতেনাতে শাকের উল্লাহকে আটক করে।
পরে তাকে শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে অভিযুক্ত বখাটে শাকের উল্লাহর পিতা-মাতার মধ্যস্থতায় ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে অঙ্গীকার মূলে শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছাড়িয়ে নেয়।
ছাত্রীর পিতা আবু ছালেক জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টার সময় নাসরিন সোলতানা লিলি আমার নিজ বাড়ী হইতে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল দেখতে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে পেকুয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রসার সামনে পৌছায়। এসময় পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা শাকের উল্লাহসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন বখাটে আমার মেয়ে কে উঠিয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে আমি পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলার সুত্র ধরে পুলিশ বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালিয়েছিল।
এছাড়া তিনি আরও জানান, বেশ কিছু দিন ধরে অজ্ঞাত স্থান থেকে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে ০১৮৭৬-৭৩১৭৩২, ০১৮৮১২৩২৪৪৮ ও ০১৮৮১৫৯৭৬৫৯ নং থেকে কল করে প্রতিনিয়ত তার কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবী করে আসছে। বিষয়টি মামলার তদন্তকারী এসআই রাজ্জাককে অভিহিত করা হয়েছে। এদিকে লিলি অপহৃত হওয়ার পর থেকে অসহায় দরিদ্র পরিবারে চলছে অজানা উৎকন্ঠা।