পেকুয়ায় লবণ শিল্পে অব্যাহত লোকসান ও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আবারো লবণ চাষ শুরু

pic.solt

পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উজানটিয়া মগনামা রাজাখালী পেকুয়া সদর ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার একর লবণ মাঠের কৃষকরা বিগত কয়েক মৌসুম অব্যাহত লোকসানের শিকার হয়ে ঋণ গ্র্স্থ হওয়ায় অনেক চাষী লবণ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।আবার অনেকই লবণ চাষ শুরু করে দিয়েছে।

অব্যাহত লোকসানে ও ঋণের বোঝায় ঐতিহ্যবাহি লবণ শিল্প চাপা পড়ছে বলে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা শংকা প্রকাশ করছে। ধারাবাহিক দরপতনের কারণে বিনিয়োগ তুলতে না পেরে কৃষকরা ঋণ গ্রহণ করে অপেক্ষার প্রহর গুণছিল একটু দাম বৃদ্ধি হলে বিক্রি করে লবণ মাঠ লাগিয়ত নেয়ার ইচ্ছে যারা করছিল তারা লবণের মাঠ লাগিয়ত নেয়া ও মাঠে চাষাবাদ শুরু করতে গিয়ে দিশে হারা হয়ে পড়েছে। অনেকে পর পর কয়েক মৌসুম লোকসান দিয়ে ঋণগ্রস্থ হয়ে যাওয়ায় লবণ চাষ ছেড়ে দিয়েছে।

প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে গেল মৌসুমে কানি প্রতি ৭থেকে ৮হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। অব্যাহত লোকসানের শিকার হওয়ায় এশিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ঠ প্রায় ১০হাজার পরিবারের আর্থিক ক্ষতির প্রভাব পড়েছে। কানি প্রতি লবণ উৎপাদনে খরচ হয় ৩৫থেকে ৩৮হাজার টাকা। আর লবণ উৎপাদনের ভাল ফলন হলে ৩শ থেকে সর্বোচ্চ ৩.৫মণ লবণ পাওয়া যায়। আর এবছর পুরো মৌসুম লবণের বাজার দর ছিল ১শা টাকা থেকে ১১৫ টাকা।

পেকুয়ায় লবণ শিল্পের সাথে উৎপাদন বহন বাজার জাত সব মিলিয়ে ১৫হাজারের অধিক পরিবার সংশ্লিষ্ট জনগোষ্টীর বিশাল একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে এ শিল্পের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে জীবন যাপন করলেও অব্যাহত লোকসান গুণতে গিয়ে অন্যপেশায় ধাবিত হচ্ছে। আবার অনেকে কোন প্রকার উপায়ন্তর বা পাওনাদারদের টাকা হাত বদল করে এ চাষাবাদে এখনো নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

কয়েকজন কৃষকের কাছে লোকসানের পর লোকসান গুনে লবণ চাষ করছে কেন জানতে চাইলে তারা অকপটে বলেন, কোন উপায় নেই ঋণের পরিমাণ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়লেও তারা পেশা বদল করতে পারছেনা। লবণের দাম কমতে থাকলেও জমির লাগিয়ত শ্রমিকের দাম আর উৎপাদন সামগ্রীর দাম বাড়ছে অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর সাথে তাল মিলিয়ে। লবণ চাষীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে গেল মৌসুমে তাদের আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৫কোটি টাকার মতো।

এদিকে সাগরের বেড়িবাধ সুরক্ষিত না থাকায় সাগর তীরবর্তীতে লবণ চাষাবাদে ঝুকি রয়েগেছে বলেও কৃষকরা উদ্যোগ প্রকাশ করেন। রাজাখালী ইউনিয়ন বকশিয়া ঘোনা এলাকার আবুল কালাম এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন আমি গত মৌসুমের লবণ চাষ করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। তারপরও কি কাজ করব উপায় নেই লবণ চাষ শুরু করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন