পেকুয়ায় যুবলীগ সভাপতির জমিতে ১৪৪ ধারা জারি

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও শিলখালী ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচীর ৯.০৮একর জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে আদালত। একটি দখলবাজ চক্র ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শিলখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য শফিউল আলমের মালিকানাধীন সম্পত্তি জবর দখলের মহোৎসবে মেতেছে।

এতে করে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় জায়গার দখল বেদখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জমির শ্রেণির পরিবর্তন করে ওই দখলবাজচক্র উক্ত সম্পত্তিতে মৎস্য ঘের ও বসতবাড়ি তৈরীর জন্য সম্প্রতি তৎপর হয়েছে। জায়গার মালিকপক্ষ তাদের সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ না করতে ওই চক্রকে নিষেধ করলে তারা অধিকতর বেপরোয়া হয়। এর জের ধরে মৌলভীপাড়া এলাকায় সম্প্রতি টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে জমি জবর দখলের জন্য আধিপত্য ও পেশি শক্তির বলয় তৈরি করে।

এদিকে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ খরিদ ও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত অংশের মালিকরা তাদের দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমির দখল ঠেকাতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আদালতে ১৪৪ ধারার জন্য গত ১৮ মে একটি এমআর মামলা দায়ের করেন। যার নং-৫৮৭/১৬। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাদি পক্ষের অনুকুলে ১৪৪ধারা জারি করেন।

মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে আবুল হাসেম টুনু, মৃত সোলতান আহমদের ছেলে মো. বাদশাহ তার ভাই আতাউল্লাহ গংকে। বাদি পক্ষের কৌশলী নালিশি জমি তার মক্কেলদের উল্লেখ করে জমির দলিল দস্তাবেজ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম মো. আব্দুস সোবহান এর আদালত ১৪৪ ধারার পক্ষে আদেশ দেন।

জানা গেছে, পেকুয়া মৌজার ৯.০৮একর জমি হোসনে আরা বেগম ও অশ্বিনী কুমার দাশের জমি ছিল। হোসনে আরা বেগম মারা যাওয়ার পর তার ওয়ারিশ উপজেলা আ.লীগের সাবেক প্রয়াত সভাপতি ছাদেকুর রহমান ওয়ারেচী গংদের সম্পত্তি। ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী গং ওই সম্পত্তির পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত মালিক।

একইভাবে অশ্বিনী কুমার দাশ এর ওয়ারিশ গং তাদের প্রাপ্ত অংশ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সহ-সভাপতি শফিউল আলম গংদের অনুকুলে বিক্রি করেন। বর্তমানে সম্পত্তির দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন যেকোন মুর্হুতে দু’পক্ষের মধ্যে দখল বেদখকে কেন্দ্র করে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা করছেন।

উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানায় আমরা খরিদসুত্রে ওই জমির মালিক। জমিতে অনুপ্রবেশ না করতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু দখলবাজ চক্র আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কয়েকদিন ধরে জায়গায় মাটি কাটার কাজ অরম্ভ করেছে। যে কোন সময় রাতের আধারে বাড়ি নির্মাণ করতে পারে তারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন