পেকুয়ায় মৎস্য ঘের থেকে মাছ লুট: ফাঁকা গুলি

গুলিবর্ষণ

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় এক ব্যক্তি মালিকানাধীন মৎস্য ঘের থেকে রাতের আধারে মাছ লুট ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এ সময় ওই মৎস্য ঘের থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। সম্প্রতি একটি চাঁদাবাজ চক্র ওই মৎস্য ঘেরের মালিকের কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় এলাকার সন্ত্রাসী সদ্য জেল ফেরত ও প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামি সালাহ উদ্দিন প্রকাশ সালু ক্ষিপ্ত হয়ে মাছ লুট করে বলে জানা যায়।

এ সময় শসস্ত্র ৫ থেকে ৭ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সালুর নেতৃত্বে ওই ঘের থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ওই স্থানে গেলে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এক পর্যায়ে তারা মৎস্য ঘেরের বাসা ভাংচুরসহ মালামালও লুট করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে সদর ইউনিয়নের সাবেকগুলদি চরপাড়া এলাকায়।

স্থানীয় নুরুল আবছার, নুর হোসেন, আবছার, ওবাইদুল হোসেন জানায় সাবেকগুলদি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোজাম্মেল হক চরপাড়া এলাকায় বিগত ৪৫ বছর আগে সরকারের ডেপুটি কমিশন (ভূমি) থেকে পয়ঁত্রিশ শতক জায়গা বন্দোবস্তি মুলে স্বত্তের মালিক হন। ওই সময় থেকে উক্ত জায়গা তিনি ভোগ দখলে আছেন। উক্ত জায়গায় ধারাবাহিক মৎস্য চাষ করে তার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

মোজাম্মেল হকের মেয়ে বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা তসলিমা খানম জানায়, ‘আমার বাবা একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তিনি অবসরে যাওয়ার পর এখন থেকে দশ বছর আগে মারা যান। এখন বাড়িতে মাকে নিয়ে আমি একা থাকি। শনিবার চরপাড়া এলাকার শফিউল আলম প্রকাশ গুরা বাদশাহ’র ছেলে সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন প্রকাশ সালু আমার কাছ থেকে সম্প্রতি ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে’।

তিনি বলেন, ‘চাঁদা না দেয়ায় ওই দিন রাতে তার নেতৃত্বে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা প্রজেক্টের লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। প্রজেক্টের বাসা ও বেড়া ভাংচুর করে মালামাল নিয়ে যায়। এতে আমার প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। রোববার প্রজেক্টে বেড়া মেরামতের জন্য শ্রমিকরা কাজ করছিল। সালু এসে শ্রমিকদের বকাবকি ও হুমকি দিয়ে যায়। বিষয়টি আমি ইউএনও ও ওসি স্যারকে জানিয়েছি বলে সে জানায়’।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল সিকদার জানায়, বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই জায়গা সাবেক শিক্ষকের। কিন্তু সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন জোর করে ওই জায়গা জবর-দখলের চেষ্টা করছে। পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভূঁইয়া জানিয়েছেন শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এএসআই নাজির হোসেনকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে ওসি জানান।

এ ব্যাপারে ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান জানায়, পেকুয়ার ওসিকে যথাযত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সেই সাথে শিক্ষিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে জানানো হয়েছে। বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য নেই। তারা অসহায়। তাদেরকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। ওই সন্ত্রাসীকে নজরদারিতে রাখার জন্য পুলিশ কাজ করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন