পেকুয়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার ভূরিভোজ!
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে বরের বাড়ীতে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূরিভোজে অংশ নেয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকালে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড়ের হিরাবনিয়া গ্রামের প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের বাড়ীতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরাবুনিয়া গ্রামের মৃত নুরুল হোছাইনের পুত্র সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের সাথে পাশ্ববর্তী টইটং ইউনিয়নের ছনখোলার জুম এলাকার ছৈয়দুল হকের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল।
এ দিকে মেয়ের বয়স কম হওয়ায় সেটি পেকুয়ার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফুর রশিদ খানকে স্থানীয়রা অবহিত করলে ইউএনও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের মাধ্যমে ওই বাল্য বিয়ে ঠেকাতে পেকুয়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পেকুয়া থানার এ এস আই মনিতোষ চাকমা ফোর্স ও মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের মিজানকে সহ বাল্য বিয়েটি ঠেকাতে বর ও কনের বাড়ীতে অভিযান চালায়। কনের বাড়ীতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে পুলিশ বরের বাড়ীতে অভিযানে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বরের বাড়ীতে এসেই বাল্য বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ না করে পুলিশ কর্মকর্তা বর পক্ষের লোকজনের সাথে প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবস্থান শেষে এ এস আই মনিতোষ চাকমা ও সঙ্গিয় পুলিশ ফোর্স বরের বাড়ীতে ভূরিভোজে অংশ নেন।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন গাড়ী ভাড়ার কথা বলে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বরের বাড়ী ত্যাগ করে থানায় ফিরে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানা এএসআই মনিতোষ চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পেকুয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ইউএনওর নির্দেশে পুলিশ নিয়ে বর ও কনের বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়েছে । তিনি জানান, বর পক্ষের কাছ থেকে মুচলেখা নেওয়া হয়েছে। মেয়ের পিতাকে ফোন করে তার মেয়েসহ আগামী রোববার অফিসে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।