পেকুয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শুকানো খাবারের সংকট

পেকুয়া প্রতিনিধি:
টানা বৃষ্টি মাতামুহুরী নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে এসে প্লাবিত হয়েছে চকরিয়া পেকুয়ার লোকালয়। ফলে চকরিয়া পেকুয়ায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো কয়েকটি ইউনিয়ন। চকরিয়া উপজেলার চকরিয়া পৌরসভা,  ফাশিয়াখালী, খুটাখালী, ডুলহাজারা, কৈয়ারবিল, বমুবিলছড়ি, কোণাখালী, বরইতলী, বহদ্দারকাটা বি এম চর, সুরাজপুর মানিকপুর, কাকারা, সাহারবিল, হারবাং, লক্ষ্যচর, ডেমুশিয়া, বদরখালী, পশ্চিম বড় ভেওলা, পূর্ব বড় ভেওলাসহ ১৮ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।

ফলে মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। ইতিমধ্যে দেখা দিয়েছে এসব এলাকায় শুকানো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। ইউনিয়নের সাথে ইউনিয়নের আন্ত যোগাযোগ সম্পন্ন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যু ব্যবস্থা ও বন্ধ রয়েছে। দূর্গত এলাকার স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে স্কুলগুলোতে ৬ জুলাই থেকে অর্ধ বার্ষিক পরিক্ষা শুরু হলেও পানিবন্দীর কারণে দূর্গত স্কুলগুলোতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

চকরিয়ার ইউএনও শাহেদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান চকরিয়া উপজেলার প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকানো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা, হরিনাপাড়ি, মোরার পাড়া এবং শীলখালী ইউনিয়নের হাজীর ঘোনা, মাঝের ঘোনা, জারুলবুনিয়া, গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে বরইতলী পেকুয়া মগনামা সড়কের সালাহউদ্দিন ব্রীজ থেকে পহরচাদা মাদ্রাসা পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক উপর পানি চলাচল করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দূভোর্গে পড়ে সাধারণ মানুষ। এদিকে কতগুলো এলাকায় পানি কমে গেলেও বাড়ছে চরম দূভোর্গ। ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গিয়ে অনেকই আশ্রয় নেওয়ার স্থান পাচ্ছে না। আশ্রয় স্থান খোজে নিয়েছে সড়কের উপর পলিথিন দিয়ে তাবু তৈরি করে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি উপচে পড়ে প্লাবিত হয়েছে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন  ও শীলখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন