পেকুয়ায় পাউবোর বেড়িবাঁধ কেটে মৎস্য ঘেরে পানি ঢুকানোর অভিযোগ

 পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ কেটে মৎস্যঘেরে লবণ পানি ঢুকানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বসতবাড়ি বন্যার ঝুঁকিতে পড়ছে। স্থানীয়রা জানায় ২০১৬সালের জুন-জুলাই মাসের বন্যায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া এলাকার বেড়িবাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যা পরবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত  বেড়িবাঁধ সংস্কার করে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি মৎস্যঘেরে পানি ঢুকাতে সংস্কার করা বেড়িবাঁধের কিছু অংশ কেটে ফেলেছে।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিরাদিয়া ও মইয়াদিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহমান কাটাফাঁড়ি নদী। এ নদীর পানি থেকে লোকালয়কে রক্ষা করতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সিরাদিয়া এলাকার মৎস্যঘেরে পানি ঢুকানোর জন্য সরকারীভাবে একটি স্লুইচ গেইট রয়েছে। কিন্তু মৎস্যঘেরের মালিক সিরাদিয়া এলাকার আবদুর রশিদ, মহাম্মদ হোসেন, নুরুল আলম ও মো. কবির স্লুইচ গেট ব্যবহার না করে বেড়িবাঁধ কেটে লবনাক্ত পানি ঢুকাচ্ছে। চারদিন ধরে শ্রমিক লাগিয়ে বেড়িবাঁধ কেটে পলবোট (আরসিসি পাইপ) বসানো হচ্ছে।

বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আনোয়ার, মোবারক আলী, মোহাম্মদ হোসেন, মোশারফ করিম, সাজেদা বেগম, মো. ইব্রাহিম বলেন, বেড়িবাঁধের কেটে ফেলা অংশ দিয়ে জোয়ারের সময় লবনাক্ত পানি ঢুকছে। পার্শ্ববর্তী বসত ঘরের পুকুর ও নলকূপ লবণের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এতে লবনাক্ততায় ভরে যাচ্ছে বাড়ি ঘর। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধের কাটা অংশ দিয়ে  নদীর পানি বসতবাড়িতে ঢুকে পডবে। তবে একটি মৎস্যঘেরের মালিক আবদুর রশিদ বলেন, সরকারি স্লুইচ গেট দিয়ে ঘেরের জন্য পানি নিতে গেলে অনেক টাকা খরচ হতো। একারণে পলবোট (আরসিসি পাইপ) বসিয়ে পানি ঢুকাতে বেড়িবাঁধ কাটা হয়েছে। তবে এতে কারও ক্ষতি হচ্ছে না। আমরা কাটা বেড়িবাঁধটি ভরাট করে দিয়েছি।’

পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ  বলেন, ‘বেড়িবাঁধ কেটে ফেলার খবর পেয়ে মৎস্যঘেরের মালিকদের নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা শোনেনি। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, বেড়িবাঁধ কেটে ফেলার বিষয়টি শুনেছি। বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার লোকজনকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তারপরও বিষয়টি সরেজমিনে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন