পেকুয়ার সাত ইউনিয়নে চুড়ান্ত হয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ার সাত ইউনিয়নে আ’লীগের চুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আগামি ৩১ মার্চ দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে যেসব প্রার্থী নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের নাম চুড়ান্ত করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ আ’লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন র্বোড ওই সাত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। আ’লীগ সভানেত্রীর রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ কার্যালয় থেকে ইউপি নির্বাচনে পেকুয়ার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন, রাজাখালী ইউপিতে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার আজমগীর চৌধুরী, পেকুয়া সদর ইউনিয়নে আ’লীগ নেতা এড. কামাল হোসেন, মগনামা ইউপিতে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. খাইরুল এনাম, টইটং ইউপিতে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উজানটিয়া ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এম. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, বারবাকিয়া ইউপিতে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম আবুল কাসেম ও শিলখালী ইউপিতে উপজেলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজিউল ইনসানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা ৩১ মার্চ অনুষ্টিতব্য ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
এদিকে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত তৃণমূল আ’লীগ থেকে ইউপি নির্বাচনে একক প্রার্থী নির্ধারনের জন্য আ’লীগ সকল ইউপিতে বৈঠক করে। এরমধ্যে পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নে কাজিউল ইনসানকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে।
অপর ইউনিয়নগুলোর মধ্যে পেকুয়া সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য চার জন প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, আ’লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম ও কামাল হোসেনকে তৃণমূল, উপজেলা ও জেলা আ’লীগে তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।
আ’লীগের মনোনয়ন র্বোড এদের মধ্যে এড. কামাল হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করে। উজানটিয়ায় আ’লীগের তিনজন প্রার্থী ছিলেন। এম. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, তোফাজ্জল করিম ও শাহজামাল মেম্বার। টইটংয়ে আ’লীগের প্রার্থী ছিলেন দু’জন। জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ বিএ। রাজাখালীতে আ’লীগের প্রার্থী ছিলেন চারজন। বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, আজমগীর চৌধুরী, উম্মে কুলসুম মিনু ও মাষ্টার নুর মুহাম্মদ। মগনামায় খাইরুল এনাম, মোজাম্মেল হক ও ইউনুস চৌধুরী প্রার্থী ছিলেন। বারবাকিয়ায় জি.এম কাসেম, মুফিজুর রহমান ও মো. বারেক আ’লীগের প্রার্থী ছিলেন। এদিকে দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করতে জেলা আ’লীগ কক্সবাজার শহরে বেশ কয়েক দফা বৈঠকে মিলিত হন। সব ইউনিয়নে একক প্রার্থী নির্ধারন করতে তারা সক্ষম হননি। পরে জেলা আ’লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান পেকুয়ার আ’লীগের প্রার্থী চুড়ান্তের জন্য কেন্দ্রীয় আ’লীগের মনোনয়ন বোর্ডে সুপারিশ পাঠান। আ’লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে যাচাই বাছাই শেষে পেকুয়ার ওই সাতজন প্রার্থীকে নৌকার টিকেট প্রদান করে।