পেকুয়ার উজানটিয়ায় ৫ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ : বিএনপি প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি
পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় আগামী ৩১মার্চ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা রকম আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের অধীনে দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর সরকার দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের এমনকি প্রশসানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বল প্রয়োগমূলক আচরণের সংবাদে বিএনপিসহ অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে বলে দাবী উঠেছে।
পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার বি.এন.পির প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাধরণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টুকে সরকার দলীয় ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোবাইলে হত্যা ও ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নং ভোট কেন্দ্র প্রকাশ্যে ভোট কেটে নেয়ার হুমকির দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএনপি প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টু দাবী করেন, আওয়ামীলীগ তথা নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী সরাসরি তার মোবাইলে ফোন করে ৫ কেন্দ্রের ভোট কেটে নিবে বলে হুমকি দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে তাকে হত্যার হুমকিও তিনি দিচ্ছেন। এমনকি তার বসতবিটায় লোক মেরে দাফন করে তাকে ফাঁসি দেয়ারও হুমকি দেয়ায় তিনি সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে শংকা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজের পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনী বিজয় অর্জন করতে চাচ্ছেন। শহিদের অব্যাহত হুমকি ও তার কর্মী সমর্থকদের প্রচারণায় বাধাদানের বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ চেয়েছেন।
বিএনপি প্রার্থী আরো বলেন, ৫টি কেন্দ্রের ভোট ডাকাতি করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে এলাকায় ভীতি সঞ্চার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করায় প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, নির্বাচনে বাধার সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে প্রশ্ন বিদ্দ করার খেসারত সরকার দলীয় প্রার্থীকে দিতে হবে।