Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

পুলিশ-র‌্যাবের যৌথ অভিযানে চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু চকরিয়ায় উদ্ধার

chakaria-pic

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ার পাহাড়ে অপহরণকারীর আস্তানায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর দেওয়ানহাট কাজীবাড়ির সামনে থেকে অপহৃত শিশু মাইনুল ইসলাম মোত্তাকীনকে (৬)। অপহরণের পর মুঠোফোনে মুক্তিপণ হিসেবে নগদ ১০ লাখ টাকা চাওয়া এবং দেওয়া বিকাশ নম্বরের স্থান প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে শনাক্তের পর পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালায়। এতে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও অপহরণচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। অপহরণের তিনদিন পর শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের পাহাড়িগ্রাম ইসলামনগরস্থ অপহরণকারীর বোন আসমা বেগমের বাড়ি থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শিশু মোত্তাকীন খেলা শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেওয়ানহাটের মেমগলির কাজীবাড়ির সামনের একটি দোকান থেকে নাস্তা কিনতে যায়। এ সময় মেমগলির ব্যবসায়ী ও চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের অলির বাপের পাড়ার সিরাজ আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলামসহ (১৮) একদল অপহরণকারী শিশুটিকে অপহরণ করে। এরপর শিশুটিকে চকরিয়ায় নিয়ে আসার পর কয়েকবার স্থান বদল করে সর্বশেষ বোনের বাড়িতে জিম্মি করে রাখে।

পুলিশ জানায়, শিশু মোত্তাকীনকে খুঁজে না পাওয়ায় ২১ সেপ্টেম্বর রাতেই ডবলমুরিং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করেন মোত্তাকীনের বড়ভাই মো. মুজাহিদুল ইসলাম। অপহৃত শিশু মেমগলির অদূরে মেস্ত্রীপাড়াস্থ ইলোমিনেট ইন্টারন্যাশনাল কেজি স্কুলের ছাত্র এবং কাজী মো. ইউছুফ চৌধুরীর পুত্র।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শরাফত ইসলাম জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় মুঠোফোনের স্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র‌্যাব। র‌্যাবকে সহায়তা দেন চকরিয়া থানা এবং ডবলমুরিং থানার পুলিশ।’

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, ‘শিশুটিকে উদ্ধারের পর থানায় এনে প্রয়োজনীয় আইনী কাজকর্ম সেরে পরিবার সদস্যরা চট্টগ্রামেই নিয়ে যান।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন