পুলিশ পাহারায় অবশেষে দীর্ঘদিন পর পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পুলিশ পাহারায় পেকুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ জুলাই সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার ডিসি প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসক কক্সবাজারের প্রতিনিধি পেকুয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহাবুবউল করিম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা আ’লীগের সদস্য উম্মে কলুসুম মিনু, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মারুফা দিদা, বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য ও জেলা পরিষদের সদস্য উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বেলাল উদ্দিন, ইসমাইল সিকদারসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ যে গত ২৫ জুন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগ চেয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে ১৫টি আবেদন জমা দিলেও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৯জন প্রার্থী। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সফল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন। ২য় স্থান অর্জন করেন সাজ্জাদুল হোছাইন। উল্লেখ যে গত ১৯৮১ সাল থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালন করেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য এএমএম শাহাজাহান চৌধূরী।

তিনি মার্চ মাসের শেষের দিকে অবসরে গেলে বিদ্যালয়ের হালধরেন সিনিয়র শিক্ষক এনামুল হক চৌধুরী। তিনি ২ বছর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালন করেন। ৫ বছর ধরে নানা জটিলতার কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ঝুলে থাকলেও অবশেষে সে দরজা খুলে দিলেন বর্তমান বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যা উম্মে কুলছুম মিনু।

এ বিদ্যালয়ের ইতিহাসে সহকারী শিক্ষক থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অতঃপর প্রধান শিক্ষক হিসাবে স্থান করে নেন রাজাখালী নিবাসী আলহাজ্ব মাহাফুজুল করিমের পুত্র জহির উদ্দিন। তিনি ১৯৮৯  সালে মহান শিক্ষকতার পেশা ধারণ করে পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। সে থেকে তিনি বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এএমএম শাহজাহান চৌধুরীকে অনুসরণ করে শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অনেক বাঁধা ও প্রতিকূলতার মাঝে ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে হাল ধরেন।

এ ব্যাপারে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নিয়োগ কমিটি যথাযথ নিয়ম মেনে আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়োগ কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট এবং উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক শিক্ষিকাসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি আরো জানান, এ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালন করতে এবং বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল করিম জানান, নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি উম্মে কুলছুম মিনু জানান, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে নিয়োগ কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন। পরীক্ষা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন